মানিকচক আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র। —নিজস্ব চিত্র।
মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়ে বিফল হয়ে ফিরলেন মালদহের মানিকচক আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র। মনোনয়নের কাগজপত্রে প্রয়াত স্বামীর পদবি ভুল থাকায় তা জমা করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে হলফনামা জমা করানোর নিয়ম রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা এসে পৌঁছল না তাঁর কাছে। ফলে মনোনয়নের কাগজপত্র জমা দিতে এসে মহকুমাশাসকের দফতরের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে সেই হলফনামার অপেক্ষাতেই কাটালেন সাবিত্রী। শেষমেশ মনোনয়ন দাখিলের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বুধবার সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হলেন তিনি।
বুধবার সকাল থেকেই মালদহ জেলা জুড়ে সাজ সাজ রব। আট দফর মধ্যে মালদহে একেবারে শেষ পর্যায়ে ভোট। জেলার ১২টি বিধানসভা আসনে আগামী ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে সপ্তম ও অষ্টম দফায় ভোট হবে। বুধবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই মনোনয়ন জমা দিতে মালদহ জেলাশাসকের দফতরে হাজির হন সাবিত্রী। তার আগে সোম-মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে পুজো সেরেছেন। বুধবার সকাল থেকে মানিকচক বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা জমায়েত হন শহরে। শহরের রাজপথে সাবিত্রী তথা তৃণমূলের সমর্থনে মিছিলও করেন তাঁরা।
বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য রীতিমতো তৈরি হয়ে মহকুমাশাসকের দফতরে যান সাবিত্রী। তৃণমূলে জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুরও উপস্থিত হন জেলার নির্বাচন দফতরে। তবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে প্রথমেই হোঁচট! কাগজে ভুল তথ্য় থাকায় ফিরে যেতে হয় তাঁকে। পরে সাবিত্রী বলেন, “মনোনয়নের কাগজে ভুল রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে আমাকে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা বলা রয়েছে। কিন্তু তা তৈরি হয়নি। তা ছাড়া, ৩টে বেজে গিয়েছে। মনোনয়নের কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময়ও পেরিয়ে গিয়েছে। তাই আজ (বুধবার) আর তা জমা দেওয়া গেল না।” ফলে মনোনয়ন জমা দিতে এসেও ফিরে গেলেন তিনি।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীর পদবি ভুল থাকায় মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি সাবিত্রী। মনোনয়নের কাগজে সাবিত্রীর প্রয়াত স্বামীর নাম স্বপন মিত্রের পরিবর্তে স্বপন মৈত্র লেখা রয়েছে। তাই বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারলেন না তিনি।