গত ১০ বছর তিনি হাবড়ার বিধায়ক। এ বারও পুরনো কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় পেশ করেছেন নিজের সম্পত্তির বিবরণ।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জ্যোতিপ্রিয়র উপার্জন ছিল ৪০ লক্ষ ২১ হাজার ৯১০ টাকা। তাঁর স্ত্রী উপার্জন করেছেন ১৮ লক্ষ ১১ হাজার ৬৫০ টাকা।
এই মুহূর্তে জ্যোতিপ্রিয়র হাতে আছে নগদ ২২ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে আছে ১৭ হাজার টাকা।
বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে জ্যোতিপ্রিয়র নামে সঞ্চিত রয়েছে যথাক্রমে ১৪ হাজার টাকা, ৩ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৪৯ টাকা ৫ পয়সা, ১১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭২৭ টাকা, ৫৪ লক্ষ ৫১ হাজার ৭৭৫ টাকা ৮২ পয়সা, ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৪৭ টাকা ৭৫ পয়সা, ১২ লক্ষ ১০ হাজার ৯৪৯ টাকা ৭৪ পয়সা, ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৫৪ টাকা ৭৯ পয়সা, ১১ লক্ষ ৬ হাজার ৮৮১ টাকা ৮০ পয়সা, ১৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২৩৫ টাকা, ২২ হাজার ৪১ টাকা, ২৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৫ টাকা, ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৭৩ টাকা ৬৯ পয়সা, ৫৪ হাজার ৫৯ টাকা, ৮৬ হাজার ৬৫৭ টাকা এবং ২৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৯৬ টাকা।
তাঁর স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৫০৩ টাকা ৫০ পয়সা, ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৬ টাকা, ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৩৬ টাকা ৩৫ পয়সা, ৭ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২০ টাকা ৮২ পয়সা, ১৮ লক্ষ ৭ হাজার ৩৫৫ টাকা, ২৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৯০ টাকা, ১১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৩৩ টাকা ৫৭ পয়সা।
জ্যোতিপ্রিয়র নামে ১২টি স্থায়ী আমানতে সঞ্চিত রয়েছে যথাক্রমে ৫ লক্ষ টাকা, ৩ লক্ষ ১ হাজার ৩৬৮ টাকা, ৮ লক্ষ ১৫ হাজার ৬২৭ টাকা, ১৩ লক্ষ টাকা, ৬ লক্ষ ৬ হাজার ৫৯২ টাকা, ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা, ৬ লক্ষ টাকা, ৬ লক্ষ টাকা, ৭ লক্ষ টাকা, ৮ লক্ষ টাকা, ১১ লক্ষ ১০ হাজার ৬০২ টাকা এবং ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।
একাধিক স্থায়ী আমানত রয়েছে তাঁর স্ত্রীর নামেও। ৮টি স্থায়ী আমানতে তাঁর নামে গচ্ছিত আছে যথাক্রমে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা, ৫ লক্ষ টাকা, ১ লক্ষ টাকা, সাড়ে ৪ লক্ষ, ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা, ৫ লক্ষ টাকা, ৫ লক্ষ টাকা এবং ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারে জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর স্ত্রী বন্ড কিনেছেন ৫ লক্ষ টাকার করে। একটি জীবনবিমার ক্ষেত্রে এখনও অবধি তিনি বিনিয়োগ করেছেন ১৫ লক্ষ ৩১ হাজার ১০০ টাকা। অন্য দু’টি ক্ষেত্রে জমা দিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ টাকা এবং ৭ লক্ষ ২২ হাজার ৮৯২ টাকা। ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পে তিনি বিনিয়োগ করেছেন ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৪ টাকা।
জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী এখনও পর্যন্ত জীবনবিমার ক্ষেত্রে ৬টি জায়গায় বিনিয়োগ করেছেন যথাক্রমে ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৩৬ টাকা, ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৩৬ টাকা, ৫৫ হাজার টাকা, ৯৩ হাজার ৪১০ টাকা, ৪৫ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা এবং ৯ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৮০ টাকা। ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পে তিনি বিনিয়োগ করেছেন ৮ লক্ষ ৪২ হাজার ১৮৪ টাকা।
২০১৯ সালে একটি স্করপিয়ো এস-১১ কিনেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। খরচ হয়েছিল ১১ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৩ টাকা। সে সময় তিনি পুরনো একটি স্করপিয়ো গাড়ির বিনিময়ে এই নতুন গাড়ি কিনেছিলেন। তাতে নতুন গাড়ির দামে ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৩৮ টাকা কম পড়েছিল।
তাঁর স্ত্রীর নামে একটি মারুতি সুইফ্ট ডিজায়ার আছে। ২০১৬ সালে গাড়িটি কিনতে তাঁর খরচ হয়েছিল ৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫২৭ টাকা।
একটি চেন, ৭টি আংটি মিলিয়ে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে ৪৫ গ্রাম সোনার গয়না আছে। তাঁর গয়নার মোট বাজারমূল্য ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর কাছে থাকা ৫ জোড়া কানের দুল, দু’জোড়া বালা, চেন, একটি চুড় মিলিয়ে ১২২.৬৪ গ্রাম সোনার গয়নার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৩১০ টাকা।
জ্যোতিপ্রিয় বা স্ত্রীর নামে কোনও ব্যাঙ্কঋণ চলছে না। নেই কোনও কৃষিজমি বা নিজস্ব বাড়িও। হলফনামায় নিজেকে আইনজীবী বলে উল্লেখ করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। উপার্জনের উৎস, বেতন। তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ।
১৯৮৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পূর্ণ করেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল, বিদ্যাসাগর কলেজ এবং সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রাক্তনী।