দীর্ঘ দিনের রাজনীতিক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এ বছরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দমদম উত্তর কেন্দ্র থেকে। নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় জানিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির বিবরণ।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে চন্দ্রিমা উপার্জন করেছেন ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৩৬০ টাকা। তাঁর স্বামী উপার্জন করেছেন ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৬০ টাকা।
এই মুহূর্তে চন্দ্রিমার হাতে আছে নগদ ১ লক্ষ ১৮০ টাকা। তাঁর স্বামীর কাছে আছে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭৬ টাকা।
ব্যাঙ্কের দু’টি সেভিংস অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে গচ্ছিত আছে যথাক্রমে ৪৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৭১৪ টাকা ৩৭ পয়সা এবং ৬৬ হাজার টাকা।
চন্দ্রিমার স্বামীর নামে দু’টি অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত আছে যথাক্রমে ৬২ হাজার ৩৭০ টাকা এবং ২১ হাজার ৮৯১ টাকা।
শেয়ারবাজারে তাঁর কোনও বিনিয়োগ নেই বলেই জানিয়েছেন চন্দ্রিমা। ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পেও কোনও টাকা রাখেননি তিনি।
২০১৬ সালে চন্দ্রিমা কিনেছিলেন একটি মাহিন্দ্রা স্করপিয়ো। দাম পড়েছিল ১১ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৩৭ টাকা। তাঁর স্বামীর নামে কোনও গাড়ি নথিবদ্ধ নেই।
চন্দ্রিমার গয়নার মূল্য ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। তাঁর স্বামীর কাছে যে আংটি আছে তার দাম ২১ হাজার টাকা।
গড়চায় একটি লিজ নেওয়া বাড়িতে থাকেন চন্দ্রিমা। ব্যাঙ্ক বা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে তাঁর কোনও আর্থিক ঋণ নেই।
হলফনামায় নিজেকে সমাজকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন চন্দ্রিমা। তাঁর স্বামী ব্যবসায়ী।
১৯৭২ সালে বাণিজ্য শাখায় স্নাতক হন চন্দ্রিমা। ১৯৭৬ সালে সম্পূর্ণ করেন এলএলবি। ১৯৭৮ সালে ওয়েস্টবেঙ্গল বার অ্যাসোসিয়েশনে তিনি আইনজীবী হিসেবে নথিবদ্ধ হন।
চন্দ্রিমার নামে অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৫৮ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৩১ টাকা ৩৭ পয়সা। তাঁর স্বামীর ক্ষেত্রে এই সম্পত্তির মূল্য ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৩৭ টাকা ৫০ পয়সা। স্থাবর সম্পত্তির কথা তাঁরা কেউ উল্লেখ করেননি।