প্রতীকী ছবি।
গত লোকসভা ভোটে রাজ্য জুড়ে ভাল ফল করলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি। লোকসভার নিরিখে জেলার ৩১টি বিধানসভা আসনের সব ক’টিতেই তৃণমূল এগিয়ে ছিল। বিধানসভা ভোটের ফলাফলেও দেখা যাচ্ছে, জেলায় বিজেপির ঝুলি শূন্যই। ৩১টি আসনের মধ্যে ৩০টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। একটি আসনে জিতেছে সংযুক্ত মোর্চা। জেলায় ভাল ফল করতে অবশ্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডার মতো হেভিওয়েট নেতারা এসেছেন প্রচারে। এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ। আমপানে সব থেকে বিধ্বস্ত হয়েছিল এই জেলা। ক্ষতিপূরণ দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে জেলার নানা প্রান্তে। চাল-ত্রিপল নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রচার পর্বেও বিরোধীরা বার বার সে প্রসঙ্গ তুলেছিল। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগও উঠে এসেছিল বিজেপির প্রচারে। তবে ভোটের ফলে দেখা গেল, সে সব দাগ কাটেনি ইভিএম মেশিনে। গত বিধানসভায় জেলার দু’টি আসনে জিতেছিল বামেরা। এ বার সেই দু’টি দখল করেছে তৃণমূল। তবে গতবারের জেতা ভাঙড় আসনটি তাদের হাতছাড়া হয়েছে। সেখানে জয়ী আইএসএফ প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকী। গ্রামীণ এলাকার উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রায়দিঘি ফের হেরেছেন সিপিএম প্রার্থী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির শান্তনু বাপুলিও হেরেছেন এই কেন্দ্রে। জয়ী তৃণমূলের অলোক জলদাতা। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে গতবারের তৃণমূল বিধায়ক তথা এ বারের বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদার হেরে গিয়েছেন। গোসাবায় তৃণমূল ছেড়ে আসা বরুণ প্রামাণিকও পরাজিত। জেলা থেকে বিদায়ী সরকারের দুই মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা এবং গিয়াসুদ্দিন মোল্লা তাঁদের কেন্দ্র কাকদ্বীপ ও মগরাহাট পশ্চিম থেকে আবার জয়লাভ করেছেন। গতবার কুলতলিতে জিতেছিল সিপিএম। এ বার জয়ী তৃণমূলের গণেশচন্দ্র মণ্ডল। ক্যানিং পূর্বে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সওকত মোল্লা জিতেছেন। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ভাঙড় কেন্দ্রটি। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ ছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের। ফল ঘোষণার পরে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল প্রার্থী রেজাউল করিম সেখানে হেরে গিয়েছেন। জয়ী নওশাদ। শুধু জেলাতেই নয়, গোটা রাজ্যে একমাত্র এই আসনটিতেই জয় পেয়েছে সংযুক্ত মোর্চা।