তৃণমূলের তরফ থেকে ওঠা দলের কর্মী দুর্গা সোরেন (৫৫)-এর মৃত্যু নিয়ে একাধিক অভিযোগ করা হয়। নিজস্ব চিত্র
ঝাড়গ্রামে তৃণমূল কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করল পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। আদালত ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে অভিযুক্তদের। সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘পুলিশ ইতিমধ্যে মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
তৃণমূলের তরফ থেকে ওঠা দলের কর্মী দুর্গা সোরেন (৫৫)-এর মৃত্যু নিয়ে একাধিক অভিযোগ করা হয়। তৃণমূলের আগুইবনি অঞ্চলের সভাপতি জগদীশ মাহাত অভিযোগ করেন, ‘‘দুর্গা সোরেন স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার মুখে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পড়ে যান। সেখানেই তাঁকে ঘিরে গালিগালাজ শুরু করে বিজেপি। ওই দিনই সন্ধ্যার পর ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে বিজেপি কর্মীরা মারধরও করেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে লাঠি চার্জ করে। সেই সময় সবাই পালিয়ে যান, কিন্তু দুর্গাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বম্বে রোডের থেকে কিছুটা দূরে পুকুরের পাড় থেকে দুর্গাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।’’
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা পুলিশে তৃণমূলের ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপি-র জেলা সভাপতি তুফান মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্য মানিক সাউয়ের ভাই তারক সাউকে বেধড়ক মারধর করেন তৃণমূল সমর্থকরা। মেরে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল। মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত আমরা দাবি করছি।’’ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু এবং বিজেপি কর্মীকে মারধরের ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।