প্রতীকী চিত্র।
চূড়ান্ত নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল বামফ্রন্ট। সাংবাদিক বৈঠক করে শনিবার চূ়ড়ান্ত ইস্তাহার প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু-সহ অন্য বাম নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনা তুলে বিমান বললেন, ‘‘নাগরিকরা স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন না। তাঁর জ্বলন্ত প্রমাণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে আঘাত লাগা। তাঁর পায়ে প্লাস্টার করতে হয়েছিল। প্লাস্টার খুলে দেখা যাচ্ছে, আড়াআড়ি ভাবে আঘাত পেয়েছেন তিনি। তিনি বলেছিলেন চার-পাঁচ জন তাঁকে আঘাত করেছে। ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে। তার মানে মিথ্যা দিয়ে শুরু, মিথ্যা দিয়ে শেষ। তার পর, নন্দীগ্রামে তো হাসপাতাল ছিল। সেখানে তিনি গেলেন না। তাঁকে গ্রিন করিডোর করে এসএসকেএম-এ এনে রাখা হল।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘স্থানীয় হাসপাতাল নামেই সুপার স্পেশালিটি। বাম আমলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঢক্কানিনাদ ছিল না। তবুও চিকিৎসা ভাল হত। প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রগুলি কাজ করত সঠিক ভাবে। এখন তা হয় না। স্বাস্থ্যের বেহাল দশা।’’ এ ছাড়া রাজ্যের কর্মসংস্থান থেকে শিল্পের বেহাল দশা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বামেরা এ বার ভোটে লড়ছে সংযুক্ত মোর্চার মাধ্যমে। সেখানে রয়েছে কংগ্রেস ও আইএসএফ। বিমান বলেন, ‘‘এটি বামফ্রন্টের ইস্তাহার। এর আগে একটি খসড়া ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছিল। শনিবার চূড়ান্ত ইস্তাহার প্রকাশ করা হল। এর পরে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে একটি আবেদনপত্র প্রকাশ করা হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই সেই আবেদন সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে যাবে। শনিবার, কেবল বামফ্রন্টের ইস্তাহার প্রকাশ করা হল।’’
দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়েও শনিবার বিমান বেঁধেন রাজ্য সরকারকে। বলেন, ‘‘বাম আমলে দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্পের দরকার পড়েনি। কারণ, তখন পঞ্চায়েত ব্যবস্থা শক্তিশালী ছিল। নিয়মিত গ্রামসভা বা গ্রাম সংসদ বসত। পরিবারের একজন করে আসতেন। তাই সকলে নিজের প্রয়োজনের কথা বলতে পারতেন। এখনও তেমন হলেই হত। মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সভা করতে হত না।’’
নরেন্দ্র মোদী পর পর বাংলায় সভা করছেন। বলছেন ‘আসল পরিবর্তন’-এর কথা, ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের কথা। শনিবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই বিষয়েও তোপ দাগেন বিমান। বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনেছি। মোদী ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর কথা বলেছেন। কিন্তু ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশে তো ডাবল ইঞ্জিন সরকার আছে। তাতে কী ফল হচ্ছে? ত্রিপুরায় অসংখ্য মানুষের চাকরি গিয়েছে। তা হলে ডাবল ইঞ্জিন সরকার রেখে সেই রাজ্যগুলির কী লাভ হচ্ছে?’’