বোকা বলেই সহজে বিশ্বাস করেছি, আফসোস মমতার।
বিশ্বাস করে ঠকেছেন। ‘বিশ্বাসঘাতক’দের উদ্দেশে তাই ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এ বার আর সরাসরি আক্রমণ নয়। কিছুটা গান্ধীবাদী হয়ে নিজেকেই দুষলেন মমতা। বললেন, চূড়ান্ত বোকামি করেছেন। কাঁথিতে, অধিকারীদের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে তাঁদের বিশ্বাস করার জন্য নিজেকেই ‘গাধা’ বললেন মমতা।
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে ম্যারাথন জনসভা করেন মমতা। প্রথমে দক্ষিণ কাঁথি। তারপর উত্তর কাঁথি হয়ে নন্দকুমারে ছিল শেষ সভা। দক্ষিণ কাঁথিতে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বিজেপি এবং সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করছিলেন মমতা। তবে দ্বিতীয় সভায় একটু বেশিই অসন্তুষ্ট মনে হল তাঁকে। নাম না করে অধিকারীদের ইঙ্গিত করে মমতা বললেন, ‘‘মেদিনীপুরে আমি কাজ করেছি আর ওরা নাম কিনেছে। আমিই গাধা। যে সহজ সরল মনে অন্ধ ভাবে ওদের বিশ্বাস করেছি।’’
কয়েক ঘণ্টা আগেই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন কাঁথির অধিকারী পরিবারের বড়কর্তা, এক সময়ের মমতা-ঘনিষ্ঠ শিশির অধিকারী। অমিত শাহের সভায় যাওয়ার আগে তিনি বলেছেন, ‘‘আর মান-অভিমানের ব্যাপার নেই। উনি আমাদের নিত্যদিন যা নয় তাই বলছেন। গদ্দার, মীরজাফর আরও অনেক বাজে কথা। এখন তাই লড়াই হবে।’’ কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তর কাঁথির মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশিরকে জবাব দিলেন মমতা।
কাঁথির সভায় এ দিনও শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীকে গদ্দার, মীরজাফর বলে আক্রমণ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমিই বোকা। বোকার মতো ওদের বিশ্বাস করেছি। ওরা সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েছে। আমার ঘরে বসে সিঁদ কেটেছে। এখন বলছে ২০১৪ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। ঘরশত্রু বিভীষণ হয়ে থেকেছে ওরা।’’
মমতা এ দিন বলেন, ‘‘বিশ্বাসঘাতকরা জয়ী হবে না। জয়ী হতে পারে না। ওরা আগে ইঁদুর ছিল এখন বাঘ হয়েছে। আর যার ক্ষমতায় বাঘ হয়েছে, এখন তাকেই খেতে আসছে। নির্বাচনের পর ওরা আবার ইঁদুরে পরিণত হবে।’’