নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে সফররত দিল্লির প্রতিবাদী কৃষক নেতারা রবিবার হাজির হলেন হুগলির সিঙ্গুরে। শনিবার নন্দীগ্রামের মতোই সিঙ্গুর থেকেও বিজেপি-কে একটিও ভোট না দেওয়ার আবেদন করলেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা জানালেন, এটি একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ। কোনও একটি নির্দিষ্ট দলকে ভোট দিতে বলা হচ্ছে না। যে দলে খুশি ভোট দিন। কিন্তু বিজেপি-কে একটিও ভোট দেবেন না।
সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের চেনা মুখ বেচারাম মান্নাকে রবিবার প্রতিবাদী কৃষদের সভায় দেখা গেল। বিধানসভা নির্বাচনে তিনি এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থীও বটে। তবে তিনি মঞ্চে ওঠেননি। উপস্থিত ছিলেন নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটেকর-সহ অনেকেই। মেধা সভাস্থলে দাঁড়িয়ে স্মরণ করলেন তাপসী মালিক, রাজকুমার ভুল-দের কথা। বললেন, ‘‘বিজেপি হিন্দু মুসলিম ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করে।’’ দুপুরেই ঘোষণা হয়েছে, সিঙ্গুরে বিজেপি-র প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক, মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। সেই প্রসঙ্গে মেধার কটাক্ষ, ‘‘রবীন্দ্রনাথবাবু, আপনিও কি হিন্দু-মুসলিম করবেন? কৃষকের অধিকার রক্ষায় যে জমি আন্দোলন করেছিলেন এ বার কি সেই জমিই বহুজাতিক সংস্থার হাতে তুলে দেবেন? নীরব মোদী, বিজয় মাল্যদের কোটি টাকা ঋণ মুকুব করেছে যে সরকার, অথচ কৃষকদের কথা শুনছে না, তাঁদের হয়ে সওয়াল করবেন?’’
শনিবার নন্দীগ্রামে ছিলেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত-সহ আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে কলকাতাতেও তাঁদের সভা হয়। কথা ছিল রবিবার প্রথমে সিঙ্গুর ও পরে আসানসোলে যাবেন কৃষক নেতারা। সেই মতো সিঙ্গুরে সভায় আয়োজন সব ঠিকমতো থাকলেও রবিবার সভা শুরু হতে একটু দেরি হয়। সভা শেষে একটি মিছিলও হওয়ার কথা ছিল, তবে সেটি বাতিল করা হয়।
কৃষক আন্দোলনের অরাজনৈতিক মঞ্চের কোনও অনুষ্ঠানেই দলীয় উপস্থিতি নজরে পড়ে না না। তবে সিঙ্গুরের সভায় উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গুর কৃষিজমি রক্ষা কমিটির বেচারাম মান্না। বেচারাম সভার মঞ্চে ওঠেননি। ছিলেন দর্শকাসনে। সভা শেষে তিনি বলেন, ‘‘২০০৬ সাল থেকে সিঙ্গুরের কৃষিজমি রক্ষার যে আন্দোলন হয়েছে, তা থেকে ভারতবর্ষের কৃষকরা শিক্ষা নিয়েছেন। ৩ টি কৃষক বিরোধী কালা আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চলছে। সর্বভারতীয় কৃষক আন্দোলনের নেতারা সারা দেশে সেই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে চাইছেন। পশ্চিমবঙ্গেও তাঁরা এসেছেন। সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে সভা করছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে যাঁরা রয়েছেল, তাঁদের শক্তিশালী করবে এই প্রচার