হামলার প্রতিবাদে জলঙ্গি থানার সামনে বসে বিক্ষোভে মোর্চার কর্মী-সমর্থকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
সপ্তম দফার ভোটগ্রহণের মধ্যেই আক্রান্ত হলেন পরের দফায় জলঙ্গির সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী সইফুল ইসলাম মোল্লা-সহ ৪ জন। অভিযোগ, তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরা সইফুল-সহ ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর সইফুল-সহ কর্মীদের মারধর করেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গির চোয়াপাড়া অঞ্চলে সরকারপাড়া গ্রামে নির্বাচনী প্রচারে করছিলেন সইফুল এবং মোর্চার সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই প্রচার চলাকালীন কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁদের উপর হামলা করে। এর পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় মোর্চা নেতৃত্ব। গোটা ঘটনায় জলঙ্গি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে জলঙ্গি থানার সামনে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন সইফুল এবং মোর্চার বহু কর্মী-সমর্থক।
জেলা কংগ্রেসের অভিযোগ, অষ্টম দফার ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে চেষ্টা করছে শাসকদল। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “সপ্তম দফার নির্বাচন চলাকালীন মুর্শিদাবাদ জেলায় বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের প্রভাবিত করা হয়েছে। কোথাও সংযুক্ত মোর্চার উপর হামলার ঘটনা ঘটছে তো কোথাও অষ্টম দফার ভোটের আগে সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা পুলিশের কাছে আবেদন করেছি।”
তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তা খণ্ডন করেছেন জেলা নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য এলাকায় উত্তপ্ত করছে আইএসএফ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।”