ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে এলেন আইএএস অফিসার খলিল আহমেদ। নির্বাচন কমিশন এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, মেয়াদ-উত্তীর্ণ পুরসভা ও পুর নিগমে প্রাক্তন মেয়র বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বিধানসভার ভোট চলাকালীন প্রশাসক পদে থেকে কাজ করতে পারবেন না। এর পরই প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে তৎপর হয় রাজ্য প্রশাসন। শনিবারই ইস্তফা দেন ফিরহাদ হাকিম। সোমবার ‘এগ্জকিউটিভ অর্ডার’-এর মাধ্যমে তাঁর জায়গায় খলিলকে নিয়োগ করা হয়েছে।
খলিল দীর্ঘ দিন কলকাতা পুরসভার কমিশনারের দায়িত্বও সামলেছেন। তার পর তাঁকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির পদে বদলি করা হয়। ওই পদের দায়িত্ব সামালনোর পাশাপাশি নতুন বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রশাসকের দায়িত্বই সামলাবেন। কলকাতা পাশাপাশি শিলিগুড়ি পুর নিগমেও প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। ওই পদ থেকে আগেই অশোক ভট্টাচার্য পদত্যাগ করেছেন। তাঁর জায়গায় নিয়োগ করা হয়েছে সুরেন্দ্র গুপ্তকে। রাজ্যের অন্যান্য পুরসভা এবং পুর নিগমে কমিশনারদেরই নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
গত এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে রাজ্যের ১৩৫টি পুরসভা এবং পুর নিগমের মধ্যে ১২৫টির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। ওই পুরসভা এবং পুর নিগমের ভোট না-হওয়ায় মেয়র অথবা চেয়ারম্যানদেরই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তা নিয়ে বিরোধীরা দীর্ঘ দিন ধরেই সরব। ভোট করারও দাবি জানিয়ে আসছিলেন তাঁরা। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এ বিষয়ে অভিযোগ জানায় বিজেপি। তার পরই কমিশনও নির্দেশিকা জারি করে।