গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
প্রচারে কোনও রাজনৈতিক দল একচেটিয়া আধিপত্য দেখাতে পারবে না। সকলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। আর সেটা নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। শনিবারই এই মর্মে রাজ্যকে নির্দেশ পাঠালো নির্বাচন কমিশন। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এখন যে যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে তার সর্বত্রই এই নির্দেশ গিয়েছেন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল পুদুচেরি প্রশাসনকেও।
ভোট পরিচালনায় একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করে চলেছে কমিশন। ভোটের প্রচারে যাতে সমস্ত রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করতে শনিবার কমিশন যে চিঠি পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট দলের হোর্ডিং, ব্যানার, কাট আউট-সহ প্রচারের বিভিন্ন মাধ্যম ছেয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি যাতে কোনও একটি দলের একচেটিয়া ক্ষমতার প্রকাশ না হয়, যাতে সকলেই সমান সুযোগ পান, সেই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে।
চিঠিতে স্পষ্ট লেখা হয়েছে, ‘কোনও একটি দলের প্রাধান্য বা একচেটিয়া প্রচার যেন না হয়। সব দল ও প্রার্থীরা যেন সমান সুযোগ পান’। ভোটের মুখে এখন দেওয়াল থেকে শুরু করে রাস্তার ধারে বড় হোর্ডিং সবকিছুই ছেয়ে রয়েছে বিভিন্ন দলের প্রচারে। সেখানেই সকলকে সমান সুযোগ দেওয়ার কথা জানাল কমিশন।
স্থানীয় পুর প্রশাসনের মাধ্যমে এই সাম্য বজায় রাখার বিষয়ে নজর রাখতে হবে জেলা নির্বাচনী অধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্বাচনের সময় যাতে কোনও একটি দল বা প্রার্থীকে সব বিজ্ঞাপনের জায়গা ছেড়ে দিয়ে দেওয়া না হয়, যাতে সকলেই সমান সুযোগ পান, সে বিষয়ে নজর রাখবেন জেলাস্তরের নির্বাচনী আধিকারিক।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে অসম, কেরল, তামিলনাড়ু, ও পুদুচেরিতে। তবে, গোটা দেশের নজর রয়েছে বাংলার নির্বাচনের দিকে। সূত্রের খবর, নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূল একচেটিয়া প্রচারের সুযোগ পাচ্ছে বলে কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি। এটা ঠিক যে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা আগেই প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় গোটা রাজ্যেই বাড়তি সুযোগ পেয়েছে বাংলার শাসকদল। তবে কমিশনের নির্দেশে আলাদা করে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম কমিশনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়নি বা কাউকে হোর্ডিং সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়নি।