গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। যে আন্দোলনের ধাত্রীভূমি থেকে তিনি শুরু করেছিলেন এক নতুন যাত্রা, নিজের দলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন, ‘নন্দীগ্রাম দিবসে’ সেই আন্দোলনের কথা স্মরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে লিখলেন, ‘২০০৭ সালের এই দিনটিতে নন্দীগ্রামে গুলিতে মৃত্যু হয় নিরপরাধ গ্রামবাসীদের। অনেকের দেহ পাওয়া যায়নি। ইতিহাসে আজকের দিনটি একটি কালো দিন। নন্দীগ্রামে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই’।
অনেকগুলি দিক থেকে এ বারের ‘নন্দীগ্রাম দিবস’ ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। অধিকারী পরিবারের ‘গড়’ থেকে এ বার লড়ছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে যিনি ছিলেন মমতার ‘বিশ্বস্ত সৈনিক’। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তাই পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্র নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। প্রতি বছর সাধারণত ‘কৃষক দিবস’ হিসাবে এই দিনটি পালন করে রাজ্য সরকার। সে কথা স্মরণ করিয়ে মমতার টুইট, ‘নন্দীগ্রামের ভূমি আন্দোলনে যাঁরা প্রয়াত হয়েছিলেন, তাঁদের স্মরণে রেখে প্রতি বছর আমরা ১৪ মার্চ কৃষক দিবস পালন করি। সেই দিনই দেওয়া হয় ‘কৃষকরত্ন সন্মান’। কৃষকরা আমাদের গর্ব। তাঁদের উন্নতির জন্য আমাদের সরকার সর্বদা বদ্ধপরিকর’।
প্রসঙ্গত, ১৮ জানুয়ারি তেখালির মাঠের সভাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম থেকেই ২০২১-এ জেতার পালা শুরু হবে, আর এই লড়াইয়ে নন্দীগ্রামেই আমি ভোটে দাঁড়ালে কেমন হয়?’’ সভাস্থলে উপস্থিত সাধারণ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন এই ঘোষণার পর। শেষ পর্যন্ত স্থির হয় সেখানেই লড়ছেন মমতা। নন্দীগ্রাম দিবসের দিন সেই কথাও ফের মনে করিয়ে দিয়ে তিনি লিখলেন, ‘শ্রদ্ধা জানাতে ও আমার নন্দীগ্রামের ভাই বোনদের উৎসাহে আমি এ বার নন্দীগ্রাম থেকেই ভোটে লড়ছি। এই ঐতিহাসিক স্থলে প্রার্থী হয়েছি আমি। বাংলা-বিরোধী শক্তির উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার সুযোগ পাওয়া সত্যিই গর্বের’।