ধূপগুড়িতে কাউন্টিং এজেন্টদের কোভিড পরীক্ষা। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটগণনার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কাউন্টিং এজেন্টদের কোভিড পরীক্ষা শুরু হল। রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতেও শুরু হয়েছে সেই কর্মকাণ্ড। শুক্রবার কোভিড পরীক্ষার জন্য ধূপগুড়ির কৃষক বাজারে এজেন্টদের ভিড় দেখা গেল।
আগামী রবিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তবে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গণনাকেন্দ্রে সংক্রমণ রুখতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করেছে। যে সমস্ত কাউন্টিং এজেন্ট রবিবার গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করবেন, তাঁদের সকলের জন্য কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে কমিশন। কাউন্টিং এজেন্ট ছাড়াও প্রার্থী-সহ গণনার সঙ্গে যুক্ত সকলের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশ কমিশনের। শুক্রবার সকাল থেকেই কৃষক বাজারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টরা কোভিড পরীক্ষা করাতে ভিড় জমান। কোনও এজেন্টের রিপোর্ট পজিটিভ এলে যাতে গণনার কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য সতর্ক কমিশন। সে জন্য অনেকেরই কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথম দিনেই ৫ জন কাউন্টিং এজেন্টের কোভিড রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। শুক্রবার যত জন কাউন্টিং এজেন্টের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে তার মধ্যে ৩ জন কাউন্টিং তৃণমূলের এবং ২ জন সিপিএমের।
শুক্রবার কৃষক বাজারে উপস্থিত ছিলেন ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী মিতালি রায়ও। তিনি বলেন, “গণনার ঠিক আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে চলছে কোভিড পরীক্ষা। অবশ্য এতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কারণ, অনেকেই কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে যেতে চাইলেও কোভিড পরীক্ষা করাতে রাজি নন। আবার কারও যদি কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাই অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আরও অনেকের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।"