মমতা এবং অমিত।
পয়লা এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। আট দফার নির্বাচন পর্বে ‘ভোট দ্বিতীয়া’। তার আগে মঙ্গলবারই প্রচারের শেষ দিন। তবে প্রথম দফার মতো আর ঝোড়ো সফরে দেখা যাবে না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভোটগ্রহণ পর্যন্ত তিনি নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে যা জানা গিয়েছে, তাতে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামেই ৪টি কর্মসূচি করবেন মমতা।
মমতার শেষ দিনের প্রচারের শুরুটা বেলা ১১টায়। ভাঙাবেড়া শহীদ বেদী থেকে সোনাচূড়া বাজার পর্যন্ত রোড-শো করবেন মমতা। ৩ কিলোমিটার হুইলচেয়ার করেই ঘুরবেন তৃণমূল নেত্রী। এর পরে দুপুর ১টায় সোনাচূড়া, ২টোয় বাঁশুলি চক লক গেট এবং ৩টের সময় তেঙ্গুয়া মোড় ক্রসিংয়ে সভা করবেন মমতা।
মঙ্গলবারই মমতার উপস্থিতিতেই অমিত শাহ যাবেন নন্দীগ্রামে। দ্বিতীয় দফার ভোটের শেষ দিনের পদ্ম-প্রচারের ঝড় তুলতে একই দিনে মমতার নন্দীগ্রামের পাশাপাশি যুব তৃণমূল সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়েও যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩টি রোড-শো করার পরে তিনি সভা করবেন ডায়মন্ডহারবারে। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভোট শুরু হয়ে গেলেও ডায়মন্ডহারবার আসনে ভোট রয়েছে তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল।
বিজেপি সূত্রে অমিতের যে সফরসূচি জানা গিয়েছে তাতে, নন্দীগ্রামে তিনি রোড শো করবেন দুপুর ১২টায়। সেখান থেকে চলে যাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। রোড-শো শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। এর পরে বিকেল ৩টের সময় পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় রোড-শো করে অমিত চলে যাবেন ডায়মন্ডহারবারে। সূচি অনুযায়ী, সেখানে তাঁর সভা শুরু হবে বিকেলে সাড়ে ৪টের সময়।
দ্বিতীয় দফায় চার জেলার ৩০ আসনে ভোটগ্রহণ থাকলেও সবচেয়ে নজরে অবশ্যই নীলবাড়ির লড়াইয়ের ‘হট সিট’ নন্দীগ্রাম। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রচারের শেষবেলায় শুধু অমিত নন, মঙ্গলবার রোড-শো করবেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। নন্দীগ্রাম ছাড়াও খড়্গপুর, কাকদ্বীপ এবং তারকেশ্বরে রোড-শো করবেন মিঠুন। ভোট-প্রচারের সময় শেষ হবে বিকেল ৫টায়। আর নন্দীগ্রামে মিঠুনের রোড-শো শুরু করার কথা বিকেল ৪টে ১০ মিনিটে।
মঙ্গলবার অমিত, মিঠুন ছাড়াও বিজেপি-র প্রচারে থাকছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে নামছেন দলের অভিনেত্রী সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, গোরক্ষপুরের অভিনেতা সাংসদ রবি কিষাণ। আসছেন বিজেপি-র অভিনেতা সাংসদ মনোজ তিওয়ারিও।