শুক্রবার বিজেপি-র ১২০ জন কর্মকর্তা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ভোটের কাজ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। —নিজস্ব চিত্র।
সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী প্রিয়া সাহা না-পসন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে একযোগে ইস্তফা দিলেন বিজেপি-র ১২০ জন পদাধিকারী। সেই সঙ্গে ভোটযুদ্ধ থেকেও সরে দাঁড়ালেন তাঁরা। শুক্রবার বিজেপি-র ১২০ জন কর্মকর্তা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে এই ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে বীরভূম জেলার বিজেপি নেতৃত্ব।
বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া কেন্দ্রের ওই বিজেপি নেতাদের ঘোষণা, প্রিয়াকে প্রার্থী করায় ১২০ জন কর্মকর্তা-সহ তাঁদের অধীনে ৭০০ থেকে ৮০০ জন কর্মী ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন না। তাঁদের অভিযোগ, সাঁইথিয়ার আসনে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ফলে এই কেন্দ্রে দলের হার নিশ্চিত। প্রার্থীর জন্যই দলের জয় আসবে না।
শুক্রবার সাঁইথিয়া শহরে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। বীরভূমের এসসি মোর্চার সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “আমরা দলের দেওয়া প্রার্থী প্রিয়া সাহাকে মানতে পারছি না। সে কারণেই সাঁইথিয়া বিধানসভার ১২০ জন পদাধিকারী ইস্তফা দিচ্ছি। আমরা ও আমাদের সঙ্গে থাকা আনুমানিক ৭০০-৮০০ কর্মীকে ভোটের কাজ করা থেকে বিরত রাখছি। এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে ওই পদাধিকারী ও কর্মীদের নাম দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিচ্ছি।” বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, রাজ্য নেতৃত্ব প্রার্থী বদল করলে ফের সাঁইথিয়া কেন্দ্রে ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন তাঁরা।
সাইথিয়ার প্রার্থী প্রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিশ্বজিৎ আরও বলেন, “তৃণমূলের কাউন্সিলরের সঙ্গে মিলে কাটমানি খেয়েছেন প্রিয়া। আমাদের কাছে তার প্রমাণও রয়েছে। তাই আমরা ভোটের কাজ করতে পারব না। সাঁইথিয়ায় আমাদের জয় নিশ্চিত। তবে দল এ রকম দুর্নীতিবাজ প্রার্থী দিয়ে আমাদের হারিয়ে দিল।”