রন্তিদেব সেনগুপ্ত
তিনি প্রার্থী হতে চান না। তালিকায় নিজের নাম দেখে প্রথমে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন হাওড়া দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত। কিন্তু সেই মন্তব্যের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদলালেন তিনি। বললেন, ‘‘আমি প্রথমে ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলাম। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়, রাজ্য নেতারাও আমাকে নির্বাচনে লড়তে অনুরোধ করেন। আমি দলের এক জন অনুগত সৈনিক। তাই কেন্দ্রীয় নির্দেশে নির্বাচনে লড়াই করব। আগের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিচ্ছি।’’
দিল্লি থেকে প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পরেই সংবাদ মাধ্যমে রন্তিদেব বলেছিলেন, ‘‘শুধু হাওড়া দক্ষিণ কেন, রাজ্যের কোনও কেন্দ্র থেকেই আমি নির্বাচনে লড়তে চাই না। রবিবার সকাল থেকে অনেকেই আমাকে বলেছিলেন, দল হাও়ড়া দক্ষিণে আমাকে দাঁড় করাতে পারে। কিন্তু আমি সকালেও বলেছি, এখনও বলছি, আমি নির্বাচনে লড়তে চাই না। দলের হয়ে সারা রাজ্যে প্রচার করতে রাজি আছি। দলীয় কর্মী হিসাবে যা করার সব করব, কিন্তু ভোটে দাঁড়াব না।’’ পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে তিনি ভোটে দাঁড়ানোর কথা বলেন।
প্রাথমিক ভাবে আরএসপি-র সমর্থক রন্তিদেবের সঙ্গে পরবর্তীতে সঙ্ঘ পরিবারের সম্পর্ক তৈরি হয়। নাগপুরে সঙ্ঘের সদর দফতরেও অতিথি হিসাবে তিনি গিয়েছেন। সামলেছেন রাজ্যে আরএসএস-এর মুখপত্র ‘স্বস্তিকা’র সম্পাদকের দায়িত্ব। সম্প্রতি রাজনীতির কাজে মন দিতে চেয়ে সেই দায়িত্ব থেকে সরে যান। তত দিনে বিজেপি-র ‘তাত্ত্বিক নেতা’দের মধ্যে নিজের পাকা জায়গা করে নেন তিনি।
লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন রন্তিদেব। বিপুল ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। হাওড়া উত্তরে ভাল ফল করলেও, হাওড়া দক্ষিণে তৃণমূল ও বিজেপি-র ভোটের ব্যবধান ছিল অনেকটাই। তালিকা প্রকাশ পেতে দেখা যায়, রন্তিদেবকে প্রার্থী করা হয়েছে হাওড়া দক্ষিণে।