বিজেপি-কে কড়া টক্কর তৃণমূলের। —নিজস্ব চিত্র
তফসিলি জাতি এবং জনজাতি প্রভাবিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলি দখলে সমানে সমানে টক্কর তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে। রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রেই এই চিত্র ধরা পড়েছে নীল বাড়ির লড়াইয়ে।
তফসিলি জাতি প্রভাবিত রাজ্যের মোট ৬৮টি কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৩৬টি। বিজেপি পেয়েছে ৩২টি আসন। আবার তফসিলি উপজাতি প্রভাবিত মোট ১৬টি আসনের মধ্যে ৯টি পেয়েছে তৃণমূল। যার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং তার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের একাধিক আসন রয়েছে। ৭টি দখল করেছে পদ্মশিবির। এ ক্ষেত্রেও বামেরা খাতা খুলতে পারেনি। এমনকি সংখ্যালঘু এবং দলিতদের সামনে রেখে লড়াই করলেও, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি প্রভাবিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে দাগ কাটতে পারেনি আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট-ও।
তৃণমূলের নেতারা দলিতদের অপমান করলেও, দিদি তার প্রতিবাদ করেননি। রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি, প্রচারে নেমে দলিত পরিবারে ভোজন সেরে বার্তা দিয়েছিলেন অমিত-সহ বিজেপি-র একাধিক নেতা। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, দলিতদের একটি বড় অংশ রয়েছে তৃণমূলের পাশেও। বরং ওই সব কেন্দ্রগুলিতে আসনপ্রাপ্তির দিক থেকে গেরুয়া শিবিরকে ছাপিয়ে গিয়েছে জোড়াফুল শিবির।