ভাইরাল হওয়া সেই ছবি। ডানদিকে, জুলফিকর আলি। ছবি : টুইটার থেকে।
স্রেফ একটা ছবি তুলতে চেয়েছিলেন সোনারপুরের জুলফিকর আলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। ভাবতে পারেননি, সেই ছবি এ ভাবে গোটা দেশের আলোচনায় পরিণত হবে। মোদীর কানে তিনি কী বলেছেন, তা জানতে উদগ্রীব হবেন দেশের রাজনৈতিক নেতারাও।
তাই শুক্রবার জল্পনা নিরসন করলেন জুলফিকর। মোদীর সঙ্গে তাঁর ছবি প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, ওঁর সঙ্গে একটা ছবি তুলতে চাই। উনি আমার সেই ইচ্ছে পূরণ করেছেন।’’
দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘কানে কানে’ কথা। যিনি বলছেন, তাঁর মাথায় সাদা নমাজের টুপি। নেটমাধ্যমে সে-ছবি হু-হু করে ছড়িয়েছিল। দু’জনের কী কথা হয়েছে, তার জল্পনা দিয়ে তৈরি হয়েছিল অজস্র ব্যঙ্গচিত্রও। ছবিটি নিয়ে জনসভায় মোদীকে কটাক্ষ করেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী নেটমাধ্যমে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘বিজেপির বাংলা জয় হয়ে গিয়েছে’। প্রচারে মোদীর দক্ষতা এতদিনে সবারই জানা। ছবিটিকে অনেকেই মোদীর ‘প্রচারের অঙ্গ’ বলে সমালোচনাও করেছিলেন।
সেই সমালোচনার জবাব দিলেন জুলফিকর। ভাইরাল হওয়া ছবি প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘ছবিটা আমারই। বিজেপির সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত। তবে ভাবিনি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কখনও দেখা করতে পারব। সেদিন ওঁকে সামনে থেকে দেখে আমি স্যালুট করেছিলাম। উনিও আমাকে পাল্টা স্যালুট করেন। কাছে ডেকে নেন।’’
গত ৩ এপ্রিল সোনারপুরে মোদীর একটি জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জুলফিকর। কানে কানে কথা প্রসঙ্গে সেদিনের পুরো ঘটনাটিই জানিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন করা হয়েছিল, মোদী তাঁকে কাছে ডেকে কী জানতে চেয়েছিলেন? জুলফিকর বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আমার নাম জানতে চেয়েছিলেন। আর জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমার কিছু দরকার আছে কি না।’’
জবাবে অবশ্য বিধানসভার টিকিট চেয়ে বসেননি জুলফিকর, ‘‘আমি ওঁকে বলি, আমি বিধায়ক বা কাউন্সিলরের পদের টিকিট চাই না। আমি শুধু আপনার সঙ্গে একটি ছবি তুলতে চাই। এর পরই আমার সঙ্গে ছবি তোলেন উনি।’’