রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
ভোট প্রচারের সময় কালো পতাকা দেখানো হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে চলল গো ব্যাক স্লোগান। বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।
সূত্রের খবর, বুধবার ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লিলুয়ার আনন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পদযাত্রা করছিলেন রাজীব। সেই সময় রাস্তার পাশে জড়ো হন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা রাজীবের উদ্দেশে ‘গদ্দার’ ও ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে চিৎকার করতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ডোমজুড়বাসীকে প্রতারণা করেছেন রাজীব। বিক্ষোভের পাশাপাশি তাঁরা কালো পতাকা দেখাতে শুরু করেন রাজীবকে।
তৃণমূল বিক্ষোভ দেখানো শুরু করলে সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন। তার ফলে সেখানেই বচসা শুরু হয় দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে। সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। যদিও ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও লিলুয়া থানার পুলিশ উপস্থিত থাকায় বচসা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে ডোমজুড় কেন্দ্রের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মাঝি বলেন, ‘‘রাজীব একজন বিশ্বাসঘাতক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এই কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে তিনি গদ্দারি করেছেন। মানুষ বিপুল ভোটে রাজীবকে হারিয়ে তাঁকে উচিত শিক্ষা দেবেন।’’
অন্য দিকে প্রচার করতে করতেই রাজীব বলেন, ‘‘হেরে যাওয়ার শোক ও হতাশা থেকেই তৃণমূল কর্মীরা কালো পতাকা দেখাচ্ছেন। এতে কোনও লাভ হবে না। ডোমজুড়ের মানুষ জানেন আমি এলাকার উন্নয়নের জন্য কী করেছি। মানুষ আমাকেই চান। আমিই জিতব।’’
রাজীব বিজেপি-তে যোগ দিয়ে ভোটে দাঁড়ানোর পর প্রচার করতে গিয়ে বার বার ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। বুধবার ফের একই ঘটনা ঘটল। যদিও এই ধরনের ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তাঁদের দাবি, এ ভাবে চক্রান্ত করে রাজীবকে হারানো যাবে না। ভোটের ফল বেরলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।