সাংবাদিক বৈঠকে অম্লান ভাদুড়ী (মাঝখানে)। —নিজস্ব চিত্র
টিকিট না পেয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়লেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সমন্বায়ক অম্লান ভাদুড়ী। টিকিট না পাওয়ায় দলত্যাগ— এ কথা স্বীকার না করলেও বলেছেন, স্থানীয় কর্মীরা চেয়েছিলেন, তাঁকে প্রার্থী করা হোক। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, দলের মধ্যে গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব প্রকট থাকায় কাজ করতে পারছিলেন না। দলত্যাগের পাশাপাশি একাধিক সরকারি পদও ছেড়েছেন অম্লান। তবে অন্য কোনও দলে যোগদান করবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন অম্লান।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে অম্লান বলেন, ‘‘আজ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে আমার আর কোনও সম্পর্ক নেই। জেলা সভানেত্রীকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যপদ ও চাঁচোল মহাকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবীর পদ থেকেও ইস্তফার চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ দলত্যাগের কারণ হিসেবে অম্লান বলেন, ‘‘দলে গোষ্ঠিকোন্দল প্রবল। তার জন্য মানুষের কাজ করতে পারছিলাম না। সেই কারণেই দল ছাড়লাম।’’
টিকিট না পেয়েই কি দলত্যাগ? এই প্রশ্নের উত্তরে অম্লান বলেন, ‘‘আমি ১০ বছর ধরে দল করি। কোনও দিন প্রার্থী হওয়ার জন্য দলকে বলিনি। কিন্তু এ বার বিধানসভা ভোটের আগে এলাকার দলীয় কর্মীরা মনে করেছিলেন, আমাকে প্রার্থী করলে বৈষ্ণবনগর আসন পুনরুদ্ধার করা যাবে।’’ অন্য দলে যোগদানের প্রসঙ্গে অম্লানের বক্তব্য়, ‘‘আমার অনুগামী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের মতামত নেব। তার পর সিদ্ধান্ত নেব।’’ বিজেপি নেতৃত্বের কারও সঙ্গে কথা হয়নি বলেও জানিয়েছেন অম্লান।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মৌসম বেনজির নুরের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন অম্লান। তখন তিনি যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি। আর বর্তমানে দলীয় পদ জেলা তৃণমূলের সমন্বায়ক। দায়িত্বে ছিলেন বৈষ্ণবনগর-সহ ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে। সেই অম্লানকে এবার দল প্রার্থী করতে পারে বলে জল্পনা চলছিল। কিন্তু শুক্রবার প্রার্থিতালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় টিকিট পেয়েছেন চন্দনা সরকার। তার পর থেকেই অম্লানের অনুগামীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। অম্লানকে প্রার্থী করার দাবিতে রবিবার বৈষ্ণবনগরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। দুপুরের এই বিক্ষোভের পর বিকেলেই দলত্যাগের ঘোষণা করেন অম্লান।