প্রচারে কোচবিহার জেলার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ দিন একই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁরা। ২০১৬ বিধানসভায় কোচবিহার জেলায় দু’জনেই তৃণমুলের টিকিটে জেতেন। এক জন মন্ত্রীও হন। কিন্তু এ বার তাঁরা প্রতিপক্ষ। সে কারণে নির্বাচনী প্রচারে চলছে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের পালা। প্রচারে বেরিয়ে কোচবিহার জেলার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিজেপি প্রার্থী মিহির গোস্বামীকে ‘বাতিল ঘোড়া’ বলে কটাক্ষ করলেন। আক্রমণের জবাবও দিয়েছেন মিহির।
মঙ্গলবার নাটাবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘মিহির এক জন বাতিল ঘোড়া। এ বার দল টিকিট দেবে না জেনেই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছে। কিন্তু মানুষ এর জবাব দেবে।’’ রবীন্দ্রনাথের কটাক্ষের জবাবে মিহির বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখেছেন, নাকি অন্যের প্রতিচ্ছবি দেখেছেন তা জানা নেই। ঘোড়া তো চতুষ্পদী প্রাণী। নিশ্চয়ই তিনিও চতুষ্পদী নন। তিনিও মানুষ। তাঁর মুখে এ ধরনের কথা শোভা পায় না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলে কাটমানি-খোরদের মধ্যে সত্যি আমি বাতিল ছিলাম। বাতিল ঘোড়া, নাকি সফল ঘোড়া তা সময় বলবে।’’
নির্বাচনে বিভিন্ন দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই রাজ্যের যে সব কেন্দ্র নজরকাড়া তার মধ্যে অন্যতম নাটাবাড়ি। নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন মিহির। গত বিধানসভায় কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। এ বার বিজেপি তাঁকে নাটাবাড়িতে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। তার পরেই কোচবিহার জেলায় ভোটের উত্তাপ অনেকটাই বেড়েছে। রবীন্দ্রনাথ ও মিহির দু’জনেই তৃণমূলে থাকাকালীন কোচবিহারে তাঁদের দ্বন্দ্ব বহু দিনের। আগেও তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে বিরোধ মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি মিহির ঘনিষ্ঠদের একাংশের অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথের জন্যই তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন মিহির। তাই এ বার লড়াই সামনাসামনি। আর সেই লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে চাইছেন না।