কান্দির সভায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদের কান্দিতে বিজেপি-র ভোটপ্রচারে এসে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেককে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘একজন রেগে তোলাবাজ বললে, আর একজন রেগে যায় জয়শ্রী রাম শুনলে।’’
কান্দির পাশাপাশি শনিবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম এবং বড়ঞাতেও কোভিড-বিধি মেনে ভোটপ্রচার করেন শুভেন্দু। তৃণমূলকে আক্রমণের পাশাপাশি অধীর চৌধুরীর জেলাতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে ‘সাইনবোর্ড সর্বস্ব দল’ বলেন তিনি।’’ যদিও মুর্শিদাবাদে জোট ‘কিছু’ আসন পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, অধীর বিরুদ্ধে সংসদে ভারত-বিরোধী সওয়ালেরও অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। ঘটনাচক্রে, মমতাও শনিবার ছিলেন জেলারই সদর বহরমপুরে।
কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গৌতম রায়ের সমর্থনে কান্দি হ্যালিফক্স মাঠে বিজেপি-র জনসভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১৪৮টি আসন হয়ে গিয়েছে বিজেপি-র। তৃণমূল এখন কোম্পানি দল, তোলাবাজ ভাইপো-সহ দেড় জন মিলে এই দল পরিচালনা করে। এই মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে বহরমপুরে বসে থাকলেও কোনও লাভই হবে না, বিজেপি পাবে, আর কিছু আসন জোট পাবে।’’
নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, ‘‘নন্দীগ্রামে খেলা শেষ। ওখানে মাননীয়া হেরে গিয়েছেন।’’ কান্দির তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘অপূর্ব সরকারি দল ছাড়া থাকতে পারবেন না। ভোট দিলে আবার ডিগবাজি খাবেন।’’
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সক্রিয় হয়নি দাবি করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মাননীয়া কোভিড নিয়ে কোনও সভা করেননি। গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘গুজরাত থেকে তো অক্সিজেন আসছে, তা হলে সেটাকে বহিরাগত বলবেন না মুখ্যমন্ত্রী?’’ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কান্দিতে স্মার্ট সিটি এবং গ্রিন সিটি হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।