ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী শুক্রবার দিল্লি উড়ে গিয়েছেন। দিল্লি অবশ্য তিনি যেতেই পারেন। কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নানা কাজে দিল্লি যেতেই হয়। কিন্তু, এ বার বীরভূমে বিধানসভা ভোটের ঠিক মুখে এই ঘটনা জানাজানি হতেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
কারণ, বোলপুরে ভোটের প্রচারে তৃণমূল, বিজেপি, বাম—সব পক্ষের প্রচারেই রয়েছে উপাচার্যের প্রসঙ্গ। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের ‘জরুরি তলব’-এই বিদ্যুৎবাবুর দিল্লি যাত্রা। এর ফলে সমাজমাধ্যম এবং বিশ্বভারতীর অন্দরে উপাচার্য পদে বিদ্যুৎবাবুর মেয়াদ সংক্রান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির ‘লোক’ হিসেবে দাবি করছে তৃণমূল। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় আবার উপাচার্যকে ‘তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ’ বলে দাবি করেছেন বারবার। উপাচার্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মহলে তিনি অভিযোগ করেছেন বলেও জানিয়েছেন অনির্বাণবাবু। অন্য দিকে, বামেরাও উপাচার্যকে ‘আরএসএস ঘনিষ্ঠ’ বলে দাবি করছে।
এ দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে উপাচার্যের দিল্লি যাত্রা নিয়ে নানা আলোচনা চলেছে, তাঁর অপসারণের পক্ষে ও বিপক্ষে উঠে এসেছে নানা মতও। সেই জল্পনায় ইন্ধন দিয়েছেন অনির্বাণবাবু নিজেই। তিনি বলেন, “আমি সব সময় বলেছি ওঁর (উপাচার্যের) পদ থেকে চলে যাওয়াই উচিত। এত দিন তো অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলেছে, কিন্তু কেউ ওঁকে দিল্লি পাঠাতে পারেনি।
আমি তো কেবলমাত্র কুড়ি দিন হল এসেছি, তার মধ্যেই দিল্লি গিয়েছেন। দেখা যাক, কী হয়।’’ যদিও উপাচার্যের এ দিনের দিল্লি সফরের কারণ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে কোনও উত্তর মেলেনি।