আইএসএফের দেওয়াল লিখন। —নিজস্ব চিত্র
নির্বাচনের প্রচার যখন তুঙ্গে ঠিক সেই সময়ে জোটে আবারও জট পাকাচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। কংগ্রেসের গড় এই জেলার তিনটি আসনে আইএসএফ প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করেছে বলে দাবি ওই দলের রাজ্য নেতৃত্বের। আর এই তিনটে জায়গায় গত বিধানসভায় কংগ্রেসের জেতা আসন, ফলে শেষ সময়ে সংযুক্ত মোর্চার জোটে এই ঘটনাকে ঘিরে জট পাকাতে পারে বলেই আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের। যদিও কংগ্রেস একেবারেই বিষয়টিতে আমল দিতে রাজি হয়নি। এদিন ডোমকলের সভা করতে এসে অধীর চৌধুরী বলেন, "এসব নিয়ে আমি কিছুই জানিনা, কিছু বলতেও পারব না।"
দিন কয়েক থেকেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ওঠে কংগ্রেসের গড়ে প্রার্থী দিচ্ছে আইএসএফ বলে। আর এদিন আইএসএফ সূত্রেই জানা গিয়েছে জেলার মুর্শিদাবাদ, ফরাক্কা এবং রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে তারা প্রার্থী হিসেবে খাড়া করেছে হাবিব শেখ, মিরাজ সেখ ও মাসুম রেজাকে। এমনকি তাদের নামে ইতিমধ্যেই এলাকায় দেওয়াল লেখাও শুরু করেছে তারা।
ওই দলের রাজ্যের মুখপাত্র শামসুল আলী মল্লিক বলেন, "মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা থেকে মিরাজ সেখ মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে হাবিব শেখ এবং রানিনগর কেন্দ্রে মাসুম রেজা আমাদের দলের হয়ে প্রার্থী হয়েছে। এখানে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে, জোটে নিয়ে কোনও রকমের জট পাকবে না।" তাঁর আরও দাবি, "আমরাও কংগ্রেসের কাছে উত্তরবঙ্গ সহ মুর্শিদাবাদের কয়েকটি আসন দাবি করেছিলাম, সেটা তারা মানেনি। ফলে আমাদের সাংগঠনিক শক্তিকে ধরে রাখতেই প্রার্থী দিয়েছি আমরা। তাছাড়া ওই জেলাতেই কংগ্রেস প্রথমেই নিয়ম ভেঙেছে।"
ঘটনাটি নিয়ে সংযুক্ত মোর্চার নেতারা কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে আছেন এই জেলায়। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক নৃপেন চৌধুরী সটান জানিয়ে দিয়েছেন, "বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু জানা নেই, একজন জানতে চেয়েছিল তাকে বলেছি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে। আর রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ফিরোজা বেগম বলেন, "আইএসএফের তরফে কেউ মনোনয়ন জমা করেছে বলে আমার জানা নেই, ফলে ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।"
রানিনগরের আইএসএফ প্রার্থী মাসুম রেজা বলছেন, "কেন জোট থাকা সত্ত্বেও রানিনগরে আমাদের দল প্রার্থী দিয়েছে সেটা রাজ্য নেতৃত্ব বলতে পারবে। আমি খাম চিহ্ন নিয়ে মনোনয়ন জমা করেছি, দলের দেওয়াল লিখন চলছে।ভোটের মাঠে লড়াই করব আমরা।"