প্রতীকী ছবি।
বাউল গানের আসরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। তার জেরে এক তৃণমূল কর্মীর নাবালক ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে শান্তিপুরের বাগদিয়ার কাছে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল। বিজেপি পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নদিয়ার শান্তিপুর থানার আরবান্দি ২ পঞ্চায়েতের বাগদিয়া দক্ষিণ দাসপাড়া এলাকায় দিন কয়েক ধরে কীর্তনের আসর বসছিল। শুক্রবার রাতে সেখানে বাউল গানের আসর বসে। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপি তাঁদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছিল। বাউলের আসরে জনা কয়েক বিজেপি কর্মী ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিলে তাঁরা নিষেধ করেন। তাতে নিরস্ত না হয়ে ওই বিজেপি কর্মীরা উল্টে লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয়। এক তৃণমূল কর্মীর ১৩ বছরের ছেলেকেও মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, সেখান থেকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে রাতে পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ।
আহত নাবালকের বাবার অভিযোগ, “আমরা তৃণমূল করি। আগে থেকেই আমাদের উপরে হামলার চেষ্টা করছিল বিজেপির লোকজন। বাউল গানের আসরে আমার ছেলের গলা টিপে মাটিতে চেপে ধরে। আমার স্ত্রী আর বোনকেও মারধর করা হয়।”
আরবান্দি ২ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি উত্তম বিশ্বাসের অভিযোগ, “পরিকল্পিত ভাবেই হামলা করেছে বিজেপি। বাচ্চা ছেলেকেও ছাড়েনি।”
বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রানাঘাটের সাংসদ তথা শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের দাবি, “ওখান তৃণমূলের কর্মীরাই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঝামেলা শুরু করে। আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। কোনও বাচ্চাকে মারধর করা হয়নি। এর আগে ফুলিয়াপাড়া এলাকাতেও একই ভাবে একটা বাচ্চাকে চড় মারার ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করেছিল তৃণমূল। এখানেও তাই হচ্ছে।” শনিবার রাত পর্যন্ত কোনও তরফেই অবশ্য লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।