ফাইল চিত্র।
ভোটের দিন নন্দীগ্রামে থেকে ‘নজর’ রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে বাইরে থেকে লোক ঢোকানোর অভিযোগ করে শুক্রবার মমতা জানিয়েছেন, ২৮ তারিখ থেকে নন্দীগ্রামে ভোটের দিন ১ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি সেখানেই থাকবেন। পাশাপাশি এ দিন নন্দীগ্রাম ছাড়াও প্রথম দফায় পূর্ব মেদিনীপুরের যে সাতটি কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।
এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ও চন্দ্রকোনার নির্বাচনী সভায় নন্দীগ্রামে বহিরাগতদের ঢোকানোর অভিযোগ করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘হলদিয়ার বড় বড় গুন্ডা নন্দীগ্রামে ঢুকিয়েছে। আমি নাম জানি।’’ তার পরেই তাঁর হুশিয়ারি, ‘‘২৮ মার্চ থেকে আমি তো নন্দীগ্রামে পাঁচ দিন থাকব। সব লক্ষ্য রাখব।’’ কাঁথিতে বহিরাগতদের আনার অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ থেকে গুন্ডা নিয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার ৩০ জনকে ধরা হয়েছে। তাদের কাছে বন্দুক ছিল।’’ কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী অবশ্য বলেন, ‘‘কোনও কেন্দ্রে প্রচার শেষ হওয়ার পর থেকে ভোটের শুরু পর্যন্ত সেখানকার ভোটার ছাড়া অন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে কেউ থাকতে পারেন না।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ অস্বীকার করে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বলেন,
‘‘উনি (মুখ্যমন্ত্রী) তো কানে দেখেন। কেউ হয়ত বলেছে। প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য একটি এজেন্সি ডেকরেটরের লোক এনেছিল।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের একাধিক পুলিশ আধিকারিকের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দুও।
নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের জড়ো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে নয়টি জায়গার কথাও কমিশনকে জানিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। তৃণমূলের তরফে কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে কাঁথি উত্তর দক্ষিণ, ভগবানপুর, খেজুরি, এগরা, রামনগর, পটাশপুরেও অশান্তির আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে আগামিকাল ভোটগ্রহণ হবে।