বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন গণ্ডগোল। নিজস্ব চিত্র।
শেষ দফার ভোটে সকাল থেকেই বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিলছে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর। তাজা বোমা উদ্ধার হওয়া থেকে সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখানো, তৃণমূলের এজেন্টের বাড়ি ভাঙচুর থেকে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেখানে।
নানুর বিধানসভার বেজরা গ্রামে ১১২ নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্ট দেবদাস সরকারের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। লাভপুর বিধানসভার হাতিয়া গ্রামের ৮৫ নম্বর বুথে তৃণমূল এজেন্ট প্রণয় মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে সিআরপিএফ-এর জওয়ানদের বিরুদ্ধে।
অন্য দিকে, বোলপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচন শুরুর আগেই বিজেপি-র ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নানুর বিধানসভার সিঙ্গি গ্রামে বিজেপি-র স্থানীয় নেতা খোকন দাসের গাড়ি ভাঙচুর এবং তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। লাভপুর বিধানসভার আহমেদপুরের মেলানপুর এবং পসোয়া এলাকায় ভোটারদের তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীরা আটকাচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। অবশ্য তৃণমূলের বক্তব্য চা-জল খেতেই দাঁড়াচ্ছেন ভোটাররা।
ময়ূরেশ্বর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী শ্যামাপদ মণ্ডল প্রজাপাড়া বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে গেলে গ্রামবাসীরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান তিনি। সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বন্দুক হাতে ভয় দেখাচ্ছিল বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। এর পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে রুট মার্চ করে ওই গ্রামগুলিতে। লাভপুরের পূর্ণগ্রামে বুথের সামনে জমায়েতকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বোলপুর বিধানসভার গোয়ালপাড়ার ১৬৩ নম্বর বুথের বাইরে ঘুগনি-মুড়ি খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইলামবাজারের ১১৫ নম্বর বুথের তৃণমূলের শতাধিক গুণ্ডাবাহিনী সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র। সেই গুণ্ডাবাহিনীর আক্রমণে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বেশ কয়েকজন কর্মীর মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপি। ইলামবাজারে বিজেপি-র প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে তৃণমূলের কর্মীরা লাঠি, বাঁশ নিয়ে তাড়া করে বলে অভিযোগ। ইলামবাজারে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে বোমাবাজির অভিযোগ।