প্রতীকী ছবি।
জেলায় হুহু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। বৃহস্পতিবারের ৫৪ জন আক্রান্ত করোনা রোগী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শুক্রবার এক ধাক্কায় সেই সংখ্যা একশোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। যা নিয়ে চিন্তায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই সঙ্গে জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী (৭৩) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন শুক্রবার। এর আগে মারা গিয়েছিলেন শমসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়ম বিধির তোয়াক্কা না করেই ভোটের প্রচারে নামায় করোনা আবার থাবা সক্রিয় করেছে।
করোনা উদ্বেগের সঙ্গে টান পড়েছে ভ্যাকসিনেও। আবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা এমনিতেই কম থাকায় দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে তা সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কায় জেলার স্বাস্থ্য মহল। গত বছর এই সময় করোনা ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউন চালু ছিল। ফলে হাসপাতালের অন্য বিভাগগুলি বন্ধ থাকায় আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছিল বলে মনে করেন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সুপার অমিয় কুমার বেরা। তিনি বলেন “ এই সময় মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ নেই, সচল রয়েছে হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ, ফলে চিকিৎসক নার্সরা নিজেদের বিভাগে ব্যস্ত থাকায় করোনা চিকিৎসার জন্য তাঁদের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে।”
ইতিমধ্যে করোনা সন্দেহে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে নতুন রোগী ভর্তির জায়গা নেই। এই অবস্থায় দফায় দফায় হাসপাতালের চিকিৎসক-প্রশাসক বৈঠকে বসে পরিস্থিতি সামাল দিতে আপৎকালীন নয়া পরিকল্পনা নিচ্ছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
গত বছর করোনার প্রকোপ খানিক কমতে কোভিড হাসপাতাল থেকে সরিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সরিয়ে আনা হয়েছিল সারি ওয়ার্ড। করোনা দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পরতে না পরতেই সন্দেহজনক করোনা রোগীতে সারি ওয়ার্ড ভর্তি হয়েছে। ফলে সন্দেহজনক নতুন করোনা রোগীদের জন্য মেডিসিন বিভাগে ৪০ শয্যার স্পেশাল ওয়ার্ড খোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোভিড হাসপাতালে ১৬ জন চিকিৎসককে পাঠানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে নার্সদেরও।