বাড়ির পাশের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচারে গৌতম। নিজস্ব চিত্র।
লড়াইয়ের ময়দান একই আছে, প্রার্থীও একই আছেন। শুধু বদলে গেছে প্রতীক। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর আসনে কেবল প্রতীকটাই বদলে পুরনো ময়দানে ভোট যুদ্ধে নেমে পড়েছেন গৌতম দাস। এই গৌতম গত বিধানসভায় জোটের কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন। তারপর পুনর্ভবা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। সেই এখন গৌতম তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
গৌতম বলেন, ‘‘লড়াই অবশ্যই কঠিন। তবে আমি চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি। চ্যালেঞ্জেই তো লড়াইয়ে মজা।’’ গৌতম নিজেও স্বীকার করেছেন, এই আসনে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কেন? কারণ, গত বিধানসভায় কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে গঙ্গারামপুর থেকে দাঁড়িয়ে জোটের বলে বলীয়ান হয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তারপর তৎকালীন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। গত বছর তাঁকে জেলা সভাপতি করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই তিক্ততায় পৌঁছেছে।
গত লোকসভা ভোটে এই বিধানসভায় বিজেপি প্রায় ২২ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে। গ্রাম ও শহরে ব্যাপক বিজেপি হাওয়া, শক্তিও বেড়েছে। সেই সঙ্গে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে গৌতমের আত্মবিশ্বাস, উন্নয়ন ও দলের সাংগঠনিক শক্তির উপর ভর করে লড়াইয়ে বাজিমাত করবেন। গৌতম বলেন, ‘‘আমি নিজে গঙ্গারামপুর বিধানসভার ছেলে। এখানে দলের চেয়ারম্যান তথা আমার রাজনৈতিক গুরু বিপ্লবদাও থাকেন। কাজেই যৌথ প্রচেষ্টা ও উন্নয়নে নিরিখে এই লড়াই জিতব।’’ কিন্তু দলের অন্দরের খবর, বিপ্লবের সঙ্গে গৌতমের সম্পর্ক সম্প্রতি তলানিতে ঠেকেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে বিপ্লব কতটা সাহায্য করবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যদিও বিপ্লব জানিয়েছেন, তাঁর নেতৃত্বে সব আসনই দল জিতবে।