চন্দ্রকোনায় মিমি চক্রবর্তী (বাঁ দিকে)। নারায়ণগড়ে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে সাংসদ নুসরত জাহান। ছবি: কৌশিক সাঁতরা ও বিশ্বসিন্ধু দে
এক ‘বোনুয়া’-র জিভে ধার। অন্যজন সংযত। রবিবার নারায়ণগড় ও ঘাটালে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে এমনই দুই রূপ দেখা গেল দুই ‘প্রিয় বোন’-এর।
‘দিল্লির সরকার মহিলাদের সম্মান করতে পারে না,’— নারায়ণগড়ে তৃণমূল সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান যেখানে সরাসরি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন। ঘাটালের শ্রীপুর মাঠের জনসভায় মিমি চক্রবর্তীর বক্তৃতায় কিন্তু তেমন ধার নজরে পড়েনি। “যে দল মানুষের পাশে থাকে না, মানুষের জন্য ভাবে না, সেই দল কখনও মানুষের দল হতে পারে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য কাজ করেন। তাঁর হাত শক্ত করতে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করুন।”— মোলায়েম স্বরে এ ভাবেই বক্তৃতা সারেন মিমি। অন্য দিকে, নারায়ণগড়ের কাশীপুর পঞ্চায়েতের মেট্যাল হাইস্কুলের মাঠের সভায় নুসরতের বক্তব্যে উঠে আসে ধর্ম, পেট্রল-গ্যাসের বাড়তে থাকা দর, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের প্রসঙ্গও। আক্রমণ থেকে বাদ যাননি দিলীপ ঘোষও।
রবিবার নারায়ণগড় বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী সূর্যকান্ত অট্টের সমর্থনে প্রচারে আসেন নুসরত। তাঁর কথায়, ‘‘দিল্লির সরকার মহিলাদের একদম সম্মান করে না। আমাদের এবং দিদির ব্যাপারে অভদ্র ভাষায় কথা বলে।’’ নাম না করেই মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকেও কটাক্ষ করেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘একজনকে লোকসভায় পাঠিয়েছিলেন। তিনি শুধু খুন, লড়াই, মারপিটের কথা বলেন। একটু কি ভালবাসার কথা বলা যায় না?’’ নুসরত বিজেপির ধর্ম বিষয়ে ‘মাতামাতি’র বিষয়েও কটাক্ষ করেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আপনাদের ধর্ম নিয়ে এত মাতামাতি কেন?’’ সাংসদের আরও প্রশ্ন, ‘‘রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, বিএসএনএল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। যারা ভারতবর্ষ গড়তে পারল না, তারা সোনার বাংলা গড়বে?’’ নুসরত সভা করেন খড়্গপুর গ্রামীণেও। চন্দ্রকোনা বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ ধাড়া এবং ঘাটালের প্রার্থী শঙ্কর দোলইয়ের সমর্থনে রোড শো এবং জনসভা করেন মিমি চক্রবর্তী। প্রথমে চন্দ্রকোনায় রোড শো করেন মিমি। চন্দ্রকোনায় প্রচার সেরে কপ্টারে উড়ে মিমি পৌঁছন ঘাটালে। এ দিন পিংলার বসন্তপুরেও সভা করেন মিিম।