প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের ‘ভোট উত্সবে’ যেন করোনার সংক্রমণ না বাড়ে,তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন। শুধু বুথের সংখ্যা বাড়ানোই নয়,ভোটারদের জন্যথাকছে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। রাজ্যের একাধিক জেলাশাসক মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেজানিয়েছেন সেই সবপরিকল্পনার কথা।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা জানিয়েছেন, ভোট কেন্দ্রে যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে। কিন্তু ইভিএমে একই বোতাম একাধিক মানুষ ছোঁবেন। তাই সেখান থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তার জন্যও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইভিএমের বোতাম টেপার জন্য ভোটারদের একটি করে গ্লাভস দেওয়া হবে।
এমনকি করোনার কারণে ভোটারদের কী কী সতর্কতা মূলক বিধি মেনে চলতে হবে, তা নিয়েও প্রচার হচ্ছে। শুরু হয়েছে রোডমার্চ। সুমিতের দাবি, ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিষয়টি নিয়েছেন। তাঁরা রোডমার্চে অংশ নেওয়া আধিকারিকদের সঙ্গে এগিয়ে এসে কথা বলছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক রশ্মি কোমল জানিয়েছেন, ভোটকক্ষে প্রবেশের আগে ভোটারদের ‘থার্মাল স্ক্যানার’ দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। আর তার জন্য এক জন করে স্বাস্থ্য কর্মীও থাকবেন বুথে। যদি কারও শরীরের অস্বাভাবিক তাপমাত্রা দেখা যায়, তবে তাঁকে আলাদা করে টোকেন দেওয়া হবে। তাঁদের ভোট গ্রহণের শেষ ঘণ্টায় আসতে বলা হবে। তখন তাঁরা ভোট দেবেন। ভোটের কারণে যাতে করোনার সংক্রমণ না বাড়ে সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।