সল্টলেকে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারির পর নির্বাচন কমিশন ও নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করল বিভিন্ন আঞ্চলিক দল। আরজেডি, শিবসেনা, ডিএমকে-র মতো বিজেপি-বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতারা আজ টুইট করে কমিশনের সমালোচনা করেছেন। পাশে থেকেছেন তৃণমূল নেত্রীর। অভিযোগ, বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্রের উপর প্রকাশ্যে আঘাত হানছে বিজেপি।
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপির ‘বি টিম’ হিসাবে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। তেজস্বীর কথায়, “কমিশন শাসক দলের দাসত্ব করছে।”
শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের মন্তব্য, “এই ঘটনা গণতন্ত্র, দেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার উপর সরাসরি আঘাত।” ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিনও সেই সুরেই বলেছেন, “সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের উপরেই গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস তৈরি হয়। সব রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থী যাতে অবাধে নিরপেক্ষ বাতাবরণে ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করুক নির্বাচন কমিশন।”
কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজকের দিনটিকে গণতন্ত্রের ‘কালো দিন’ হিসেবে প্রচার করছে তৃণমূল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বর্তমানে তৃণমূলের সদস্য যশবন্ত সিন্হা আজ একটি টুইট করে বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে বরাবরই সন্দেহ ছিল। কিন্তু যতটুকু আবরণ ছিল, এই ঘটনায় সেটাও খসে পড়ল। এখন স্পষ্ট, কমিশন মোদী-শাহের নির্দেশে কাজ করছে। গণতন্ত্রের প্রতিটি সংস্থাকে আজ সমঝোতা করতে হয়েছে। আমাদের সামনে কি কোনও আশা রয়েছে?”