টালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয়র সমর্থনে প্রচারে মিঠুন। পিটিআই।
তাঁর প্রচারে ‘মহা সমস্যা’ প্রশাসনের। তবু কর্তব্যে স্থির ‘মহাগুরু’। বেহালায় প্রচার বাতিল হতেই টালিগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়-র সমর্থনে প্রচারে নামলেন ‘মহানায়ক’-এর মূর্তিতে মাথা ঠেকিয়ে।
বেহালায় কয়েক ঘণ্টা আগেই মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো বাতিল করেছে পুলিশ। মিঠুনের প্রশ্ন,‘‘ শ্রাবন্তী-পায়েলের রোড শো বাতিল করা হল কেন বলুন তো? হোয়াট ফর?’’ এর পর তাঁর সংযোজন, ‘‘এ সবে কিছু হবে না। বিজেপি-র রাস্তা পরিষ্কার। এখন শুধু ভাবছি, কত বড় ভাবে আর কত বেশি ভোটে জিতব!’’
যদিও বাবুলের অভিযোগ, টালিগঞ্জেও মিঠুনের সভা বাতিল করতে সব রকম চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। বাবুলের কথায়, ‘‘এখানে মিঠুনদা’র শো যাতে না হয়, সে জন্য ইলেকশন কমিশমনে আগে থেকে চিঠি দিয়েছিল এখানকার পুলিশ। বলেছিল, তৃণমূলের শো আছে। তাই মিঠুনদা’র শো হতে পারবে না।’’ তবে বাবুলও হাল ছাড়তে নারাজ। বললেন, ‘‘এমন কেউ নেই যে টলিউডে বাংলার কৃতী সন্তানকে ঢুকতে বাধা দেবে।’’ টানা দু’ঘণ্টা পরিশ্রম করে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে রোড শো-র যথাযথ অনুমোদন এবং নিজেই গাড়ি চালিয়ে মিঠুনকে নিয়ে আসেন তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রচারে। বাবুল বলেন, ‘‘দাদা যে আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবুলের হয়ে প্রচারের আগে সকালে বেহালা পূর্ব এবং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করার কথা ছিল মিঠুনের। ওই দুই কেন্দ্রে বিজেপি-র দুই তারকা প্রার্থী পায়েল সরকার এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। রোড শো শুরুর ঠিক আগেই মিঠুনের শো-এর অনুমোদন বাতিল হয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় থানা থেকে। সকাল থেকে তা নিয়ে ক্ষোভ ছড়ায় বেহালায়। পর্ণশ্রী থানার সামনে বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। শ্রাবন্তী বলেন, ‘‘হেরে যাওয়ার ভয়েই তৃণমূল এ সব করাচ্ছে।’’ যদিও মিঠুন জানিয়ে দেন, অনুমতি না পেলে তিনি কোনও মতেই প্রচার করবেন না।
পরে বাবুলের হয়ে প্রচারে এসে তিনি বলেন, ‘‘হারা জেতা নিয়ে এখনও প্রশ্ন উঠছে? তিন দফা নির্বাচনের পর পার্সেন্টেজ তো দেখতেই পাচ্ছেন!’’
বাবুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ও আমার কাছে ক্যান্ডিডেট নয়। ও আগেও প্রমাণ করেছে মানুষের জন্য কতটা কাজ করে। টালিগঞ্জে এলে যে টালিগঞ্জেরও উন্নতি হবে, সে ব্যাপারেও প্রশ্ন থাকার কথা নয়।’’