ফাইল চিত্র।
তিনি ‘ভূমিপুত্র’। প্রায় ৪০ বছর ধরে সেই একই মাটিতে বিধানসভার লড়াই করছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে নিজের জেতা আসন ছেড়েছিলেন স্ত্রীকে। দলবদলের পরে হয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। সাড়ে চার বছরের মাথায় সেই নিজভূমেই আবার বিধানসভার পরীক্ষা দিতে হবে মানস ভুঁইয়াকে।
সবং বিধানসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন মানস। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে এখান থেকেই জিতেছিলেন তিনি। তার পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে হন রাজ্যসভার সাংসদ। মানসের জেতা আসনে ২০১৭সালের বিধানসভা উপ নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী গীতা ভুঁইয়াকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। প্রায় ৬৪ হাজার ভোটে জয়ী হন মানস পত্নী। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে নিজের ঘাটাল কেন্দ্র ছেড়ে মেদিনীপুরে পরীক্ষা দিতে গিয়ে হেরে ফিরতে হয় মানসকে। এ বারের বিধানসভাও তৃণমূলের কাছেওবড় পরীক্ষা। লড়াই কঠিন বলেই কি সাংসদ মানস ভুঁইয়াকে সবংয়ের মাটিতে প্রার্থী করা হল? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলছেন, “সবং আসন আমাদের কাছে সবথেকে সহজ। মানস ভুঁইয়ার মতো একজনকে বিধানসভায় খুব প্রয়োজন ছিল। তাই দল ওঁকে প্রার্থী করেছে।” আর মানসের স্পষ্ট জবাব, “এই লড়াই বাংলা ও বাঙালিকে রক্ষার লড়াই। সবংয়ে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কারে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই। আমি দলের সৈনিক। দল যেখানে বলবে সেখানেই লড়াই করব।”
১৯৮২ সালে প্রথম সবং বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন মানস। এর পরে ধারাবাহিক জয়ের পরে ১৯৯৬সালে বাম সমর্থিত নির্দলপ্রার্থী মাখনলাল বাঙালের কাছে পরাজিত হয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। এর পরে ২০০১সালে ফের তুষারকান্তি লায়ার কাছে পরাজিত হতে হয়। তবে ২০০৬সাল থেকে ২০১৬সাল পর্যন্ত টানা তিনবার জয়ী হয়েছিলেন। মাস কয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সবংয়ে মানস বিরোধী বলে পরিচিত জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। এ বার সবংয়ে বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে কীভাবে এগোবেন? মানস ভুঁইয়া বলেন, “গীতা ভুঁইয়াকে সবথেকে কঠিন সময়ে ২০১৭ সালে সবংয়ের প্রার্থী করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। গত সাড়ে চার বছরে গীতা ভুঁইয়া উন্নয়ণের কাজে যেভাবে সার্থক হয়েছেন সেই বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে যাব।”