গ্রাফিক। নিরুপম পাল।
দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্বের আগেই কেন্দ্রের বিরোধী নেতাদের চিঠি দিয়ে বিজেপি-বিরোধী ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, আম আদমি পার্টি (আপ)-র অরবিন্দ কেজরীবাল, বিজেডি-র নবীন পট্টনায়ক, ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও।
চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, গণতন্ত্র এবং সংবিধানের বিরুদ্ধে বিজেপি যে আঘাত হানছে, তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের সময় এসেছে’।
দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অক্ষুন্ন রাখতে তিনি যে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীকে চিঠি লিখেছেন, বুধবার সে কথা এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগে তিনি কেজরীবালের ‘সাফল্যের’ কথাও তুলে ধরেছেন চিঠিতে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির সবগুলি আসন বিজেপি দখল করেছিল। কিন্তু তার কয়েক মাস বাদেই যে সেখানকার বিধানসভা ভোটে কেজরীবালের ‘আপ’ বিপুল ভোটে জয়ী হয়, সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা।
দিল্লি-সহ বিভিন্ন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের উপর কেন্দ্রের অসাংবিধানিক আচরণের অভিযোগও এনেছেন মমতা। বিরোধী নেতাদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে তাঁর বার্তা, ‘এই পরিস্থিতিতে আমি সর্বান্তকরণে আপনাদের এবং অন্য সব সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত’। তাঁর মতে, ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের মাধ্যমেই দেশবাসীর সামনে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প’ (বিজেপি-র) তুলে ধরা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, শুরুর দিকে বাম-কংগ্রেসের সুংযুক্ত মোর্চায় যোগ দিয়ে বাংলার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউপিএ জোটের দুই শরিক এনসিপি এবং আরডেজি। কিন্তু পরবর্তী কালে কংগ্রেসের এই দুই সহযোগী দল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেসের সহযোগী শিবসেনাও। এনসিপি প্রধান পওয়ার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের প্রচারে আসবেন বলেও তাঁর দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ইমেল করে পওয়ারকে অনুরোধ করেছিলেন, তৃণমূলের হয়ে এ রাজ্যে প্রচারে না আসতে।