এ বারের ভোটে দল প্রত্যাশিত জয় পাবে বলেই শুক্রবার প্রার্থীদের অভয় দিয়েছেন মমতা। —ফাইল চিত্র।
১৩ মে, ২০১১। প্রথম বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সে বার বেলা ১১টার আগে ঘর থেকে বার হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯ মে, ২০১৬। বিধানসভা ভোটে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইয়েও কালীঘাটের বাসভবনে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২ মে, ২০২১। নীলবাড়ির লড়াইয়ের ফলগণনা।
গত ২ বারের মতো এ বারও হয়তো ব্যতিক্রম হবে না। ১৭তম বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিনও কালীঘাটের বাড়িতেই থাকবেন তিনি। এ বারের ভোটে দল প্রত্যাশিত জয় পাবে বলেই শুক্রবার প্রার্থীদের অভয় দিয়েছেন মমতা। লড়াই শেষ হওয়ার আগে যাতে দল কোনও ভাবেই মানসিক ভাবে পিছিয়ে না পড়ে, সে কথা মাথায় রেখেই দৃঢ় কণ্ঠে প্রার্থী ও গণনার এজেন্টদের ‘ভোকাল টনিক’ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
কোভিড সংক্রমণের কারণে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে সকলের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফলপ্রকাশের পরেও দলীয় নেতা-কর্মীদের তাঁর বাড়িতে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, ২০১১ ও ২০১৬ সালের ফল সম্পূর্ণ ঘোষণার আগে থেকেই ঢল নেমেছিল মমতার কালীঘাটের বাড়িতে।
কিন্তু এ বার তেমন পরিস্থিত এড়াতে চাইছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, কালীঘাট ও তৃণমূল ভবনে পৃথক দু’টি কন্ট্রোলরুম করা হচ্ছে ফলাফলের উপর নজর রাখতে। গণনাকেন্দ্রের জন্য চালু করা হেল্পলাইন নম্বরটি কালীঘাটের একটি অফিস থেকেই পরিচালিত হবে। যদিও, সেটি তৃণমূল নেত্রীর বাসভবনে করা হচ্ছে না বলেই খবর। বাড়িতে বসেই যাতে তাঁর কাছে গণনা সংক্রান্ত সব রকম খবরাখবর পৌঁছয়, সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। একই সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও প্রার্থীদের সঙ্গে যাতে তিনি যোগাযোগ করতে পারেন সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে।