হুইল চেয়ারে জনসংযোগও করেছেন মমতা। নিজস্ব চিত্র।
তাঁর জখম পা সেরে গিয়েছে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনও প্লাস্টার নিয়ে হুইল চেয়ারে চেপেই ঘুরতে হচ্ছে তাঁকে। জনসভা আর রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির সামলাতে গিয়ে বাড়ি ফেরার সময় নেই। তবে কলকাতায় বাড়ি ফিরেই প্লাস্টার কাটাবেন, রবিবার বললেন মমতা।
রবিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে রবীন্দ্রসদনে ভার্চুয়াল সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘পায়ে চোট নিয়ে গত দেড় মাস জেলায় জেলায় ঘুরেছি। এখন হয়তো আমার পা ভালো হয়ে গিয়েছে কিন্তু, আমি যেহেতু বাড়িতে যেতে পারছি না, তাই প্লাস্টার কাটতে পারছি না। টানা দশ দিন আমি বাড়ির বাইরে আছি। বাড়ি ফিরে এটা আমাকে করতে হবে।’’
করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচনী জনসভার বদলে ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন মমতা। তবে কলকাতা থেকে সেই সব বৈঠক করেননি। জেলায় জেলায় গিয়ে সেখানেই নির্দিষ্ট একটি এলাকা থেকে ভার্চুয়াল সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে মালদহ, বীরভূম, বর্ধমানে সভা করেছেন। রবিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সভা ছিল তাঁর। সেখানেই করোনা পরিস্থিতিতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সভা করতে না পারার জন্য আফসোস করেন মমতা। বলেন, ‘‘গত দেড় মাসে একটা মুহূর্তও নষ্ট করিনি। প্রতিটা জেলায় গিয়ে প্রচার করেছি। প্রচারের সময় জেলায় থেকেছি। পায়ে চোট নিয়েই একের পর এক সভা করেছি। এখনও গত ১০ দিন ধরে আমি বাড়ির বাইরে।’’ তবে বাড়ি ফিরে প্লাস্টার কাটানোর ব্যবস্থা করবেন বলে জানান মমতা।
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে বাঁ পায়ে চোট পান মমতা। নন্দীগ্রামের বিধানসভা প্রার্থী হিসেবে সেখানে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই গাড়ির দরজায় আঘাত লেগে পা জখম হয় মমতার। গুরতর জখম অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরই চিকিৎসকদের বিশেষ অনুরোধ করে ছুটি নেন মমতা। তারপর থেকে হুইল চেয়ারেই বসে একের পর এক জনসভা করেছেন তিনি। তবে রাজ্যে বিধানসভা ভোট পরিস্থিতিতে বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে মমতার পায়ের আঘাতের কথা। কখনও বিরোধীদের সমালোচনায় কখনও বিতর্কিত ভিডিয়োয় বারবার বার আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর জখম পা।