ছবি: পিটিআই।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে রাজ্যে ফের ক্ষমতায় এলে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (সিএমও) করবেন বলে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি নন্দীগ্রামে ‘আন্দোলনের ভূমিকন্যার বাড়ি’ও বানাবেন বলে জানিয়েছেন রবিবার।
নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনই গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় আহত হন মমতা। তার ঠিক ১৮ দিন পরে রবিবার ফের নন্দীগ্রাম এসেছেন তিনি। দোলের দিন বিকেলে প্রথমে রেয়াপাড়ায় বসন্ত উৎসবে অংশ নেন তিনি। পরে বিরুলিয়াতেও একটি জনসভা করেন। দুই মঞ্চ থেকেই মমতা নন্দীগ্রামে একটি বাড়ি বানানোর কথা বলেন। পাশাপাশি বিরুলিয়ার মঞ্চ থেকে তিনি নন্দীগ্রামে সিএমও বানাবেন বলেও জানান।
বিরুলিয়ার সভা থেকে মমতা বলেন, ‘‘আমার একটা কাজের সিস্টেম আছে। এখনও কালীঘাটে আমার কেন্দ্রে একটা সিএমও আছে। যে কোনও লোক গেল, আমি না-ই বা থাকলাম, তার যে কাজ তারা ওখান থেকে গিয়ে করে নিয়ে আসে। আমাকে তো সব সময় পায় না। কিন্তু আমার সেটআপ আছে। আর নন্দীগ্রাম থেকে আমি জিতে আপনাদের এখানে সিএমও অফিস করে দেব। এবং আপনাদের এখানে আমার নিজস্ব একটা অফিসও থাকবে। আমি চাই কাজগুলো হোক।’’
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই নন্দীগ্রামে রেয়াপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নেন মমতা। সে প্রসঙ্গের উল্লেখ করে রবিবার রেয়াপাড়ার সভা থেকে তিনি জানান, ভাড়া নেওয়া ওই বাড়িটি দোতলা। এখন পায়ে চোট রয়েছে বলে তিনি দোতলায় উঠতে পারবেন না। তাই পাশেই এক দিদিমণির বাড়িতে থাকবেন। সেখানে দু’টি ঘর একতলায়। এক বছরের জন্য ঘর ভাড়া নিলেও তিনি নন্দীগ্রামে একটি কুঁড়ে ঘর বানানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন রবিবার। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এক বছরের জন্য ঘর ভাড়া নিয়েছি। পরে একটা ছোট্ট কুঁড়ে বানিয়ে নেব। ঠিক আমার বাড়ির (কালীঘাটের বাড়ি) রেপ্লিকা। নন্দীগ্রামের মানুষের জন্য এটা আমার উপহার। আমি হয়তো চিরকাল বাঁচব না। কিন্তু ওই বাড়িটা দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে সবাই আসবে। ওটা হবে আন্দোলনের ভূমিকন্যার বাড়ি।’’ পরে বিরুলিয়ার সভা থেকেও মুখ্যমন্ত্রী একই কথা বলেন।