আবু হাসেম খান চৌধুরী।
দল তাঁর সঙ্গে একমত নয়। মঙ্গলবারই কংগ্রেস জানিয়েছিল। বুধবার নিজেও সুর পাল্টালেন মালদহের কংগ্রেস সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। যে জোটসঙ্গী সিপিএমকে সাম্প্রদায়িকতার দায়ে দোষী করেছিলেন ২৪ ঘণ্টা আগে, সেই দলেরই জেলা সম্পাদককে পাশে বসিয়ে বুধবার ডালু জানালেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তিনি সংযুক্ত মোর্চার সঙ্গে আছেন। শরিকদের নিয়ে একসঙ্গে ভোট চাইবেন। প্রচার করবেন। জনসভাও করবেন। জোটের শরিকদের মধ্যে কোথাও কোনও মতপার্থক্য নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ডালু জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস সাম্প্রদায়িকতা পছন্দ করে না। আর তাঁদের কাছে বিজেপি আর আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফের মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তবে সংযুক্ত মোর্চায় সিপিএমের সঙ্গে আব্বাসকে জুড়তে সম্মত হলেন কেন? জবাবে ডালু বলেছিলেন, ‘‘আমরা তো রাজি হইনি। বামেরা ওদের এনেছে।’’ জানতে চাওয়া হয়েছিল, তবে কংগ্রেস জোট থেকে বেড়িয়ে এল না কেন? ডালু বলেন, ‘‘চুক্তি আগেই হয়ে গিয়েছিল। তাই জোট হয়েছে।’’ জোটসঙ্গী সিপিএমকে পরোক্ষে আক্রমণ করে ডালু বলেছিলেন, ‘‘ওরা হয়তো ভেবেছে ভোটে কোনও আসন পাবে না। তাই ধর্মীয় আবেগ টেনে আব্বাসকে সামনে রেখে জিততে চায়।’’ তবে তাঁর দলের মতাদর্শের সঙ্গে বিষয়টি মেলে না। বরং এ ব্যাপারে তৃণমূলের মতাদর্শের সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে তাঁদের। ডালু এ-ও বলেছিলেন যে, তৃণমূল যদি ২ মে-র পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তবে কংগ্রেস তৃণমূলকে সমর্থন করবে।
তা হলে তাঁর কোন বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে? স্পষ্ট জবাব দেননি ডালু। শুধু বলেছেন, তাঁর বক্তব্য ভুল ভাবে পেশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ডালুর ওই বক্তব্যের পরই কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘যে যা-ই বলুক জোট থাকছে। অন্য কোনও দলকে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না’। ভোটের মুখে সংযুক্ত মোর্চা জোট নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাতে কোনও ভুল বার্তা না যায় সে ব্যাপারেই তৎপর হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বুধবার মালদহ জেলা কংগ্রেসের কার্যালয় হায়াত ভবনে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডালু। বলেন, ‘‘সংযুক্ত মোর্চার শরিকদের মধ্যে কোনও মত পার্থক্য নেই।’’ অম্বরও বলেন, ‘‘১২টি বিধানসভাতে জোট শরিকের ভোটের রণকৌশল তৈরি হয়ে গিয়েছে। হচ্ছে যৌথ কর্মীসভাও। একসঙ্গেই কাজ করবে শরিকদলগুলি।’’