চুঁচুড়ায় গঙ্গাবক্ষে প্রচারে লকেট চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
রাজনীতিতে ৬ বছর পার করেছেন, অভিনেত্রী থেকে সাংসদ হয়েছেন ২ বছর হল। সেই লকেট চট্টোপাধ্যায় ভোটের প্রচারে নেমে ‘শো’ করছেন বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল।
সোমবার নৌকায় চুঁচুড়ায় ফেরিঘাট থেকে ডানলপ ঘাট পর্যন্ত গঙ্গার ঘাটে ঘুরে জনসংযোগ করেন লকেট। ঘাটগুলির সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি, মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিলের প্রচারও করেন তিনি। নৌকায় লকেটের প্রচার দেখতে ভিড় জমান এলাকার মানুষ। যদিও চুঁচুড়ার লকেটের প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী তথা বিধায়ক অসিত মজুমদারের মতে, এসবই ‘ছবি তোলার জন্য শো’।
বস্তুত রোজই প্রচারে নতুন নতুন চমক দিচ্ছেন লকেট। দিন কয়েক আগে গরুর গাড়িতে চড়ে প্রচার করেছেন। কিছুদিন আগে চুঁচুড়ার এক পুজোর প্যান্ডেলে হাজির হয়ে ভোগ রান্নার কাজেও হাত লাগাতে দেখা যায় লকেটকে। এ প্রসঙ্গে অসিত বলেন, ‘‘এক দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে, তেল গ্যাসের দাম সাধারণ মানুষের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। এ দিকে লকেটদেবী কখনও গরুর গাড়ি, কখনও নৌকা করে ঘুরছেন। শো করছেন ছবি তোলার জন্য।’’
চুঁচুড়ার সাংসদ লকেট সাংসদ তহবিলের টাকায় উন্নয়নের কাজ তেমন করেননি বলে অভিযোগ ছিল এলাকায়। সোমবার প্রচারে লকেট বলেন, ‘‘এই সরকার উন্নয়নের কাজ করতে দেয় না। সাংসদ তহবিলের টাকাও খরচ করতে দেয় না। আগামী দিনে সরকারে এলে আমরা কাজ করব। চুঁচুড়ার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের উন্নতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোদি সরকার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য তহবিল গঠন করেছে। বাংলা যেহেতু মাছের উপর নির্ভর করে্, তাঁদের অবশ্যই উন্নয়ন করব।’’
সোমবার ছিল দোল। দোল উপলক্ষে ঘাটে স্নান করতে আসা মানুষের সঙ্গে দেখা করতে এবং কথা বলতেই নৌকায় প্রচার, জানিয়েছিলেন লকেট। নৌকা থেকেই পদ্মফুল ও বিজেপির পতাকা দেখিয়ে প্রচার করেন লকেট। দোলের আগের দিন প্রচারে বেরিয়েছিলেন লকেট। তার চোখে রঙ ছোড়ায় আহত হন তিনি। আজ প্রচারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল চোখ কেমন আছে। জবাবে লকেট বলেন, ‘‘চোখ এখন ভাল আছে। তৃণমূলের এক পঞ্চায়েতের প্রধানের নেতৃত্বেই আমার উপর হামলা করা হয়েছিল। আমার প্রচার বন্ধের চেষ্টা করা হয়েছিল। কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। আমি জানি, আমাদের নিজেদের জায়গা করতে হবে। এ সব করে দমাতে পারবে না। চুঁচুড়া কেন, সারা বাংলা জুড়ে পদ্ম ফুটবে।’’
লকেটের ওই বক্তব্য প্রসঙ্গে অসিত জানান, মানুষের নজর টানতে এ সব শো করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী করবে, তা স্থির করে নিয়েছে।