ইসলামপুর শহরে আচমকাই দেখা মিলল যমরাজের। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার ইসলামপুর শহরে আচমকাই দেখা মিলল যমরাজের। যিনি সাধারণ মানুষকে জীবনের মূল্য সম্পর্কে সচেতন করছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তিনি যমরাজ নন, আসলে তিনি কলকাতা পুলিশের একজন কনস্টেবল। যিনি ভোট দিতে নিজের গ্রামের বাড়ি ইসলামপুরে এসেছিলেন। গত সপ্তাহেই তিনি ইসলামপুরে এসে পৌঁছন। কলকাতা পুলিশে কর্মরত বাপন দাস কোভিড সংক্রমণের ভয়াবহতা ভালই বোঝেন। ইসলামপুরে ফিরেই দেখেন এলাকায় মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রায় কোনও সচেতনতাই নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের মুখে মাস্ক নেই, সঙ্গে নেই স্যানিটাইজার। নিজের ঘনিষ্ঠমহল তো বটেই, গত কয়েকদিন ধরেই অপরিচিতদেরও মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলেছেন।
কিন্তু সেই আবেদনে তাঁরা সাড়া না দেওয়ায় বাপন ঠিক করেন বিকল্প পথে আমজনতাকে সচেতন করবেন। রবিবার সকালে ইসলামপুর বাজার থেকে বাস স্ট্যান্ড সব জায়গায় যমরাজ সেজে ঘুরে বেড়ান তিনি। সচেতনতার বার্তা দিতে যমরাজ রূপী বাপন নিজের মুখে মাস্ক পরেছেন। সঙ্গে সাধারণ মানুষকে কোভিডের ভয়াবহতা সম্বন্ধে সচেতন করেছেন। পাশাপাশি, বিলি করেছেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে দেশ এখন চরম সঙ্কটে। দেশের নাগরিকরা সচেতন না হলে বিপদ আরও বড় আকার নিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সতর্কবার্তা থেকেই শিক্ষা নিয়ে পুলিশকর্মী বাপন বলেন, ‘‘কেবল সরকারের উপর সবকিছুর দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হবে না। সাধারণ মানুষকেও সচেতন হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমি সেই সচেতনতার বার্তা নিয়েই সাধারণ মানুষের কাছে যমরাজ সেজে যাচ্ছি। বোঝাচ্ছি, সচেতন না হলে সত্যি সত্যিই যমরাজের সাক্ষাৎ পাবেন।’’