পলাশ ও সুপর্ণা। ফাইল চিত্র।
তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা পলাশ মণ্ডল ওরফে পল্টু। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে কিলোমিটারখানেক দূরে জাতীয় সড়ক লাগোয়া নয়ানজুলি থেকে বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সম্পত্তিগত কারণে পলাশকে খুন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার দুপুর পর্যন্ত নারায়ণপুরের বাড়িতেই ছিলেন ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের কানপুর-ধনবেড়িয়া পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূলের সভাপতি পলাশ। তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা রান্না করছিলেন। সেই সময় আচমকা একটি ফোন আসে। তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান পলাশ। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও পলাশের কোনও খবর না পেয়ে রবিবার ডায়মন্ড হারবার থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে গৌরীপুরের কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া নয়ানজুলিতে পলাশের পচাগলা দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।
খবর দেওয়া হয় থানায়৷ পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ, সম্পত্তিগত বিবাদের কারণেই পলাশকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পরিবারের লোকজনের দাবি, পলাশের দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অন্য কোনও জায়গায় তাঁকে খুন করে ওই নয়ানজুলিতে পলাশের দেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। তাঁর দিদির অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের পিসি ও পিসির মেয়ের সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই পলাশকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বছর পাঁচেক আগে সুপর্ণার সঙ্গে বিয়ে হয় পলাশের। তাঁদের দু’বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। স্ত্রী-পুত্রকে নিয়েই ছিল পলাশের সংসার। আচমকা তাঁর মৃত্যুতে গোটা পরিবারই অসহায় হয়ে পড়ল বলে পরিবারের দাবি। ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম অধিকারী গত শনিবার পলাশ নিখোঁজ হওয়ার পর দাবি করেছিলেন, ‘বিজেপি তুলে নিয়ে গিয়েছে’। মঙ্গলবার তিনি অবশ্য এটাকে রাজনৈতিক খুন বলে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর কথায়, ‘‘তদন্ত হোক, বড় বড় রাঘববোয়ালরা বেরিয়ে আসবে।’’