ফাইল চিত্র।
আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল আইএসএফ। রবিবার রাতে আইএসএফের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী হিসেবে মহম্মদ মোস্তাকিমের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে সোমবার পর্যন্ত তা সরকারি ভাবে সিপিএম ও কংগ্রেসকে জানানো হয়নি বলে দু’দলের জেলা নেতৃত্বের দাবি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রার্থী আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু দলকে এখনও আইএসএফের তরফ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। এর পরে, দলের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।’’ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘আইএসএফের তরফে কোনও কিছুই জানানো হয়নি। প্রার্থী নিজেও যোগাযোগ করেননি। প্রদেশ থেকে খবর আসুক। তার পরে দেখা যাবে।’’ তবে প্রার্থী মোস্তাকিম জানিয়েছেন, সিপিএম ও কংগ্রেস উভয় দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন আইএসএফ নেতৃত্ব।
মোস্তাকিম কে? রাজনীতিতে হাতেখড়ি কী ভাবে? প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তিনি গত কয়েক বছর ধরে আসানসোলে বসবাস করলেও আদতে কলকাতার মেহেদি বাগানের বাসিন্দা। স্কুল ও কলেজ পাশ করেছেন কলকাতা থেকেই। পরে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি লাভ করেন রাজস্থানের জয়পুর থেকে। তিনি বলেন, ‘‘ধর্মীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে নিপীড়িত মানুষের হয়ে কাজ করাই আমার লক্ষ্য।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে এলাকায় তিনি সুপরিচিত। ‘এনআরসি’র বিরুদ্ধে আসানসোলে স্বতন্ত্র আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। হাটনরোড এলাকায় লাগাতার ধর্না-অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। পরে আব্বাস সিদ্দিকির বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হয়ে ১১ জানুয়ারি তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মোস্তাকিম। পরে, ভাল যোগাযোগ গড়ে ওঠায় আইএসএফ-এ নাম লেখান। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার। এর মধ্যে ৩৩ শতাংশ মুসলিম। সংখ্যার বিচারে যা প্রায় ৯০ হাজার। মোস্তাকিমের দাবি, ‘‘এই ভোটারদের ৯০ শতাংশ ভোটই আমি পাব। পাশাপাশি, মোর্চার সদস্য ও তাঁদের পরিবারের ভোটও পাব।’’