প্রতীকী ছবি।
মুর্শিদাবাদের বাইশ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বাদ দিয়ে তৃণমূলের সব আসনে আর সংযুক্ত মোর্চার ১৪টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয়েছে। এখনও বিজেপির প্রার্থী তালিকা অঘোষিত। এদিকে আসন বণ্টনের ফর্মুলায় বামেরা পাঁচটি ও কংগ্রেস ১৬টি আসন পেয়েছে। শমসেরগঞ্জ আসনটি এখনও অমীমাংসিত রয়েছে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই ভোটের মুখে তৃণমূলের মত সংযুক্ত মোর্চার দুই দলেরই গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এসেছে একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিধানসভা ভোটের ফলাফলে এবার নির্ধারকের ভূমিকায় থাকতে পারে একাধিক কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থীরা, ইঙ্গিত রাজনৈতিক মহলের। বাকি আসনে কংগ্রেস উপযুক্ত প্রার্থী না দিতে পারলে বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনে কেউ নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে গেলে নির্দলের সংখ্যাটা বেড়ে যেতে পারে একুশের ভোটে। আর সেই হিসেব নিকেষে রাজনীতির পারদ ছাপিয়ে যাচ্ছে চৈত্রের প্রখর উত্তাপ।
এমনিতেই বড়ঞা ও সুতি আসন নিয়ে চাপে রয়েছে কংগ্রেস। তার উপর খড়গ্রাম আসনে এখনও প্রার্থী না দেওয়ায় সেখানে শাসকদলের পাকা আসনে ভাগ বসানোর লড়াইয়ে পিছিয়ে তারা। বড়ঞায় লোকসভা ভোটের পর বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক বেড়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি তৃণমূলের প্রার্থীও কমজোরি বলে দাবি ওই এলাকার বাসিন্দাদের। ফলে হাওয়া ঘুরে ওই এলাকায় বিজেপির পালে বইতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি।
কান্দিতে কংগ্রেস শক্তিশালী হলেও গৌতম রায়ের বিজেপির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনায় ওই এলাকায় তৃণমূলের অপূর্ব সরকারের সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াইয়ে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তেমনই সুতি বিধানসভা আসনে মুলত লড়াই হবে তৃণমূল আর কংগ্রেসের। কিন্তু সেখানেও দুই দলের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে আসায় নির্দল হয়েও দাঁড়িয়ে যেতে পারেন দুই দলেরই কোনও বিক্ষুব্ধ নেতা। যেহেতু ওই অঞ্চলে এখনও বিজেপির তৎপরতা চোখে পড়েনি তাই নির্দলের দিকে ভোট সরে যেতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
মুর্শিদাবাদ আসনে কংগ্রেস এখনও প্রার্থী দিতে না পারায় ওই আসনে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলের সুযোগে তাদের প্রার্থীকে চাপে ফেলে দিতে পারে বিজেপি। লালগোলা ও ভগবানগোলা তৃণমূল গোষ্ঠী বিবাদে দীর্ণ। তৃণমূলের একাংশের ষড়যন্ত্রে মহম্মদ আলি ও কংগ্রেসের আবু হেনার সঙ্গে লড়াইয়ে লালগোলায় এগিয়ে কংগ্রেস।
আবার ভগবানগোলায় নির্দল হিসাবে দাঁড়াতে পারেন ওই এলাকায় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা। একই ভাবে নবগ্রামে তৃণমূল ও বামেদের গোষ্ঠী কোন্দলের সুযোগ নিতে পারে বিজেপি। বহরমপুরে তৃণমূলের নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় ও বিজেপি ভাগ বসালেও কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তীর আসন অটুট থাকার কথা বলছেন সমীক্ষকরা।