Kanchan Mullick

WB Election: উত্তরপাড়া কেন্দ্রে শুরু ভোটের প্রচার, খেললেন কাঞ্চন, কটাক্ষ রজতের

সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী রজতও রবিবার হাজির ছিলেন উত্তরপাড়ার কাঁঠালবাগান এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুগলি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২১ ০১:৩৯
Share:

উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে রজত বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাঞ্চন মল্লিক। নিজস্ব চিত্র।

হুগলির উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটপ্রচার শুরু করলেন শাসক ও বিরোধী, দু’দলের প্রার্থীরাই। তৃণমূলের তরফে এই কেন্দ্রে প্রার্থী টলিউডের অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। বাম-কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকি ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রট (আইএসএফ) জোট সংযুক্ত মোর্চার তরফে সিপিআইএমের হয়ে লড়বেন রজত বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দু’জনকেই দেখা গেল প্রচারের দায়িত্ব পালন করতে।

Advertisement

রবিবার সাতসকালে উত্তরপাড়ায় হাজির হন কাঞ্চন এবং রজত। প্রচারের ফাঁকেই কেউ ক্রিকেট মাঠে নেমে গুগলি ছুড়লেন তো কেউ কটাক্ষ ছুঁড়লেন প্রতিপক্ষের উদ্দেশে। সব মিলিয়ে ভোটমুখী প্রথম রবিবারের প্রচার বেশ জমে উঠল উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে।

কাঞ্চন এসেছিলেন সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরে। পায়ে স্পোর্টস শ্যু। কোন্নগর অলিম্পিক মাঠে খুদেদের সঙ্গে তাঁকে দেখা গেল ক্রিকেট খেলতে। পিচে বলও করলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। কাঞ্চনকে দেখতে রীতিমতো ভিড় জমল এলাকায়। বিভিন্ন মঞ্চে, প্ৰচারে, জনসভায় ‘খেলা হবে’ স্লোগানে বিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তাঁর দল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, খেলা হবে আর সেই খেলার গোলরক্ষক তিনি একাই। কাকতলীয় ভাবে কাঞ্চনকেও রবিবার খেলার মাঠেই প্রচার করতে দেখা গেল। সেখানে ‘খেলা হবে’ স্লোগানও ওঠে। পরে অবশ্য কাঞ্চন উত্তরপাড়ার শান্তিনগর, কাঁঠালবাগান বাজার ঘুরে প্রচার সারেন। বাজারে আসা সাধারণ মানুষ ও সব্জি বিক্রেতাদের সঙ্গে হাত মেলান অভিনেতা। আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন।

Advertisement

সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী রজতও রবিবার হাজির ছিলেন উত্তরপাড়ার কাঁঠালবাগান এলাকায়। এ ছাড়া স্টেশন রোড, বি এন রোডেও প্রচার করেন তিনি। প্রায় দু'শো সিপিআইএম এবং কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রচারে বের হয়েছিলেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। পথচলতি মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করতেও দেখা যায় তাঁকে। পরে প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী কাঞ্চনের প্রসঙ্গে রজত বলেন, “তিনি তো ভোটের আগেই প্রচারে সময় দিতে পারছেন না। ভোটের পর সাধারণ মানুষের জন্য কী করে সময় বার করবেন!” নিজের স্থানীয় যোগের প্রসঙ্গ টেনে রজতের বক্তব্য, “আমরা ৩৬৫ দিন এলাকায় থাকি, কাজ করি। আবার ভোটের সময়েও করি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement