নতুন প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সমর্থনে মালঞ্চ থেকে মিছিল অসীম মাঝির। — নিজস্ব চিত্র।
দু’বারের বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও এ বার তৃণমূল তাঁকে টিকিট দেয়নি। তা নিয়ে তাঁর অসন্তোষ রয়েছে। দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা এখনও তাঁর হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। রবিবার বিক্ষোভও দেখান। তা সত্ত্বেও নতুন প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারীর হয়ে প্রচারে নেমেছেন বলাগড়ের বিদায়ী বিধায়ক অসীম মাঝি।
রবিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়, টিকিট না-পেয়ে বলাগড়ের বাসিন্দা, রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুমনা সরকার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এরপরেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অসীমবাবুকে ফের প্রার্থী করার দাবি তোলেন বলাগড়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একটা বড় অংশ। তাঁরা অসীমবাবুর বাড়িতে ভিড় করেন। জিরাটে দলের যে কার্যালয়ে অসীমবাবু বসেন, সেখানেও যান। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়ও। অসীমবাবু কথা বলে তাঁদের শান্ত করেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাসও দেন।
শান্তনু এবং সুমনা— দু’জনেই দাবি করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল কথা রটেছে। তাঁরা বিজেপিতে যাচ্ছেন না। ওই দলের কোনও নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি।
গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভায় তৃণমূল বিজেপির চেয়ে ৩৪ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিল। সেই হিসেব উল্টে জেতার জন্য তাঁরা অসীমবাবুকেই প্রার্থী চাইছেন বলে জানিয়েছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘অসীমবাবু সারা বছর কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। মানুষের বিপদ-আপদে রাতবিরেতে তাঁকে পাওয়া যায়। অসীমবাবুকেই বিধায়কের টিকিট দেওয়া হোক। এ নিয়ে আগামী মঙ্গলবার ব্লকের সব বুথের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করব। দলের উচিত বিষয়টি নিয়ে ভাবার।’’
অসীমবাবু বলেন, ‘‘সোমবার কলকাতায় যাব। দলের উচিত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা। কর্মীদের কথা দলনেত্রীকে জানাব। দলের নির্দেশ মেনে প্রার্থীর হয়ে প্রচারও চালিয়ে যাব।’’
অবশ্য দলের নির্দেশমতো প্রার্থী মনোরঞ্জনের হয়ে শনিবারই পথে নামতে দেখা গিয়েছে অসীমবাবুকে। মহীপালপুর পঞ্চায়েতের মালঞ্চ থেকে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার পদযাত্রা করেন তিনি। একতারপুর গ্রামে কর্মী-বৈঠকও করেন।