প্রতীকী চিত্র।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনার ‘দায়’ নির্বাচন কমিশনের উপরে চাপিয়েছিল তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘কেন পুলিশে হঠাৎ করে রদবদল করা হল। সেই কারণেই কি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগের অনুষ্ঠানে যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না?’’ তৃণমূলের সেই দাবিরই পাল্টা জবাব দিল নির্বাচন কমিশন। ৩ পাতার চিঠিতে কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, রাজ্যে যে পুলিশ পর্যবেক্ষকরা রয়েছেন, তাঁদের নির্দেশেই এই রদবদল করা হয়েছে। আগে থেকে বিষয়টি ঠিক করা ছিল।
চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, ‘ভোটের নামে রাজ্য প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নেয়নি কমিশন। রাজ্য প্রশাসনের দৈনন্দিন কাজ সামলাবে রাজ্য সরকারই’। তার আগে চিঠিতে অবশ্য স্পষ্টই লেখা হয়েছে, নন্দীগ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে দোষ দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। কারণ সংবিধানের ৩২৪ ধারা অনুযায়ী নির্বাচনের দায়িত্বে কমিশন থাকলেও, রাজ্যের প্রাত্যহিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকে রাজ্য প্রশাসনেরই হাতে। সেখানে কমিশনের কিছু করার নেই।
তৃণমূলের তরফ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়েছিল, রাজ্যের একটি কেন্দ্রে প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিরাপত্তা নিয়েই তো প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু পাল্টা এই চিঠি দিয়ে কমিশন বুঝিয়ে দিল, এই ধরনের অভিযোগ ‘কড়া’ হাতেই মোকাবিলা করা হবে। তৃণমূল অভিযোগ করেছিল, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে কমিশন। এর বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিয়েছে কমিশন। ভবিষ্যতে যাতে কমিশনের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে, সেই কারণেই তারা এমন বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা।