বয়াল বুথে ভোটগ্রহণ ব্য়হত হয়নি বলে জানাল পর্যবেক্ষক। নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামের বয়ালের বুথে ভোটগ্রহণ কখনই ব্যাহত হয়নি। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিকেল ৪টে নাগাদ নির্বাচন কমিশনকে এমনই রিপোর্ট দিয়েছেন দুই সাধারণ পর্যবেক্ষক (জেনারেল অবজার্ভার)। পরে তা প্রেস বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে কমিশন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নন্দীগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত বয়াল মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গন্ডগোলের খবর পেয়ে দুই সাধারণ পর্যবেক্ষক হেমেন দাস এবং আশুতোষ রায়কে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পাঠানো হয়। তাঁদের কাছ থেকে বিকেল ৪টা বেজে ৬ মিনিটে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তালে উল্লেখ করা হয়েছে, বয়াল মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর ওই বুথে ভোটগ্রহণ মসৃণ ভাবে চলছে। এ-ও বলা হয়েছে, ওই বুথে প্রায় দেড় ঘণ্টা থাকার পর, বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ চলে যান মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের অন্যতম প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বুথে ভোটগ্রহণ কখনই ব্যাহত হয়নি বলে দাবি করেছেন ওই দুই অবজার্ভার। ওই সময়ে ওই বুথে ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলেও কমিশনকে দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ওই বুথে প্রায় হাজার তিনেক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। কমিশন তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে বয়ালের ওই বুথ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন মমতা। ওই অভিযোগ বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকেও জানানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বয়ালে হুইলচেয়ারে চেপে গ্রামে ঢোকেন মমতা। রাস্তায় তাঁকে পেয়ে তৃণমূল সমর্থক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বুথের দখল নিয়ে অবাধে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে বিজেপি। তৃণমূলের এজেন্টকে পর্যন্ত বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও মমতাকে জানান তাঁরা। এর পরই সোজা বয়ালের ওই বুথে পৌঁছন মমতা। মমতাকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তেড়ে যান তৃণমূল সমর্থকরাও। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরস্পরকে লক্ষ্য করে শুরু হয় এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে রাজ্য পুলিশ।