CPM

Bengal Polls 2021: সিপিএম প্রার্থী দিল কৃষ্ণগঞ্জে

বিজেপি ও তৃণমূলের প্রার্থীরা যখন কেন্দ্রের এ মাথা থেকে ও মাথা কার্যত চষে বেড়াচ্ছেন, এত দিন কার্যত হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কৃষ্ণগঞ্জ শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২১ ০৬:৩৫
Share:

প্রার্থী ঝুনু বৈদ্য। নিজস্ব চিত্র।

আইএসএফ প্রার্থীর খোঁজ না মেলায় শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী দিল সিপিএম। মঙ্গলবার ছিল এই কেন্দ্রের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সোমবার রাতেই প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করে সিপিএম। ওই রাতেই কৃষ্ণগঞ্জের শাকদহ এলাকার বাসিন্দা, বছর তিরিশের ডিওয়াইএফ নেত্রী ঝুনু বৈদ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রার্থী হওয়ার কথা। মঙ্গলবার সকালে রানাঘাট মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়ে তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

Advertisement

বিজেপি ও তৃণমূলের প্রার্থীরা যখন কেন্দ্রের এ মাথা থেকে ও মাথা কার্যত চষে বেড়াচ্ছেন, এত দিন কার্যত হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও আইএসএফ প্রার্থী অনুপ মণ্ডলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে বামেদের ভিতর থেকে কৃষ্ণগঞ্জে প্রার্থী দেওয়ার দাবি উঠতে থাকে। সোমবার আইএসএফের রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতি নিয়েই নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম। আর তাদের সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান কংগ্রেস নেতাকর্মীরা।

মাজদিয়া কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক ঝুনু ছাত্র রাজনীতি থেকে যুব সংগঠনে এসেছেন। বর্তমানে সংগঠনের কৃষ্ণগঞ্জ লোকাল কমিটির সম্পাদক তিনি। তাঁর বাবা, ক্ষুদ্র চাষি অনাদি বৈদ্য কট্টর সিপিএম কর্মী বলে পরিচিত। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝুনুকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করেছিল দল। ফলে নির্বাচনে লড়ার অভিজ্ঞতা তাঁর আগে থেকেই আছে। বর্তমানে তিনি কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক অফিসের চুক্তিভিত্তিক কর্মী।

Advertisement

জেলা বামফ্রন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে শান্তিপুর কেন্দ্রটি দাবি করেনি কংগ্রেস। প্রাথমিক আলোচনায় ওই কেন্দ্রটি দাবি করে আইএসএফ। পরে সিপিএমও এই কেন্দ্রটি দাবি করতে থাকে। সিপিএমে নেতৃত্বের দাবি, তখন আইএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয় যে তারা সিপিএমকে শান্তিপুর ছেড়ে দিতে পারে, কিন্তু তার জন্য জেলায় তাদের অন্য একটি আসন দিতে হবে। সেই মতই কৃষ্ণগঞ্জ দেওয়া হয় আইএসএফকে। কিন্তু পরে কংগ্রেস শান্তিপুর কেন্দ্রটি নিয়ে নেওয়ায় সিপিএমের আর কৃষ্ণগঞ্জ কেন্দ্রটি আইএসএফকে ছেড়ে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থাকল না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “আইএসএফের প্রার্থীরই তো দেখা পাওয়া গেল না। তা ছাড়া এই কেন্দ্রে তাদের কোনও প্রাসঙ্গিকতাও নেই। সেই কারণেই আমরা প্রার্থী দিলাম।” আর সিপিএম প্রার্থী ঝুনু বলছেন, “জীবন জীবিকার লড়াই আমি নিজের জীবন দিয়ে প্রতি মুহূর্তে উপলব্ধি করে আসছি। মানুষের সামনে সেই জীবন জীবিকার দাবিই তুলে ধরব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement