প্রস্তুতি: চুঁচুড়ার এইচআইটি কলেজেও চলছে কাজ। ছবি: দীপঙ্কর দে ও তাপস ঘোষ
রাত পোহানোর অপেক্ষা। তার পরেই শুরু হবে সপ্তদশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের গণনা। হুগলির ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১০৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য গণনা হবে। এ জন্য সমস্ত গণনাকেন্দ্রে প্রস্তুতি সারা বলে প্রশাসনের দাবি।
জেলার চার মহকুমায় গণনাকেন্দ্র মোট ৮টি। শ্রীরামপুর মহকুমায় শ্রীরামপুর কলেজ (এখানে গণনাকেন্দ্র দু’টি। মেন বিল্ডিং এবং আর্টস ব্লক) এবং জনাই ট্রেনিং উচ্চ বিদ্যালয়। চন্দননগর মহকুমায় কানাইলাল বিদ্যাপীঠ এবং চন্দননগর গভর্নমেন্ট কলেজ। সদর মহকুমায় এইচআইটি কলেজ এবং ব্যান্ডেল সার্ভে কলেজ। আরামবাগ মহকুমায় আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়। গণনা শুরু সকাল ৮টা থেকে।
নির্বাচন পর্বে বিশেষত প্রচারের সময় কোভিড বিধি লঙ্ঘন নিয়ে নানা বিতর্ক হয়েছে। গণনাকেন্দ্রে অবশ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ আটকাতে জোরদার ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় প্রোটোকল যথাযথ ভাবে মানা হবে। সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রার্থী, কাউন্টিং-এজেন্ট প্রত্যেককেই করোনা পরীক্ষা করিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা থাকছে। সংবাদমাধ্যমের যে প্রতিনিধিরা গণনাকেন্দ্রে ঢুকবেন অথচ ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি, তাঁদের আজ, শনিবার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ় দেওয়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
শুক্রবারেই বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে গণনাকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট লোকজনকে করোনার র্যারপিড পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) জানান, গণনাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে থার্মাল স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। কারও করোনা পরীক্ষা করা না হয়ে থাকলে সেখানে জরুরি ভিত্তিতে ওই পরীক্ষার ব্যবস্থাও থাকবে। গণনাকেন্দ্রের ভিতরে প্রত্যেককে মাস্ক, গ্লাভস পরতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে। কোভিড প্রোটোকল নিয়ে পোস্টার লাগানো থাকবে।
কোভিড পরিস্থিতির কারণে এ বার গণনাকেন্দ্রের বাইরে রাজনৈতিক দলগুলির জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসনের দাবি, সব রাজনৈতিক দলকেই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জমায়েত যাতে না হয় এবং কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য গণনাকেন্দ্রের বাইরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও টহল দেবেন। মোবাইল ভ্যানেও চলবে টহলদারি। গণনাকেন্দ্রের আশপাশে রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ পিকেট বসানো হবে। গণনাকেন্দ্রের ভিতরে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে যাবতীয় দায়িত্ব থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাঁধে।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘গণনাকেন্দ্রের ভিতরে এবং বাইরে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক।’’